Tag: Webzine
তব জয়সঙ্গীত ধ্বনিছে
রবীন্দ্রসঙ্গীতের সঙ্গে অন্যান্য সংগীতের প্রধান পার্থক্য রবীন্দ্রনাথ গান লিখেছিলেন মহাকবির কলম হাতে নিয়ে। পৃথিবীতে এমন কোনো মহাকবি নেই যিনি সংগীত সৃষ্টির ক্ষেত্রে, কী পরিমাণে, কী বৈচিত্র্যে, কী উৎকর্ষের বিচারে রবীন্দ্রনাথের ধারে কাছেও আসতে পারেন। সংগীত, যা ভাষা ও সুরের মেলবন্ধনে সৃষ্ট একটা তৃতীয় শিল্পমাধ্যম, যার ব্যাকরণ এবং আঙ্গিক একেবারেই স্বতন্ত্র : এর সার্থক রূপায়ণ এবং…
চার্লস ফ্রিয়ার অ্যান্ড্রুজ – রবীন্দ্রনাথের ‘বড়ো ইংরেজ’
“Soft as slow-dropping waters in a poolKissed by the moon at midnight, deep and cool,Whose liquid sound upon the ear doth fallFraught with enchantment brooding over all –Such was the spell which held my soul in feeEntranced on hearing first GITANJALI.” (বড় হরফ লেখকের সংযোজন) [৭ জুলাই ১৯১২। ইংল্যান্ডে রোটেনস্টাইনের বাড়ি। আমন্ত্রিত রবীন্দ্রনাথ। কবি ইয়েট্স…
হন্যমান স্বদেশ ও একজন কবি
ঊনিশশো পঁচাত্তর সালে প্রথম হরমন্দির সাহিব পরিসরের একপাশে প্রায় লুকিয়ে থাকা জালিয়াঁওয়ালাবাগের ভাঙাচোরা গলিতে পা রেখেছিলুম। ভিতরে কোটা’র লালপাথরের অমরজ্যোতি ছাড়া আর কোনও নির্মাণ ছিলো না। সামান্য কেয়ারি করা কিছু তৃণভূমি, নিস্তব্ধ পদচারণায় অন্যমনস্ক কিছু মানুষ। অন্যপ্রান্তে একটি শুকিয়ে যাওয়া কুঁয়োর উপর ধূসর ছত্রির আচ্ছাদন। পর পর জীর্ণ দেওয়াল জোড়া অসংখ্য ক্ষতচিহ্ন। থ্রি নট থ্রি…
গায়ক রবীন্দ্রনাথ এবং তাঁর সংরক্ষিত কন্ঠ
আমাদের একটি দুঃখ কোনোদিন যাবেনা, যে দাপুটে কণ্ঠে ১৮৯৬ খৃস্টাব্দে বিডন স্কোয়ারে কংগ্রেসের অধিবেশনে যুবক রবীন্দ্রনাথ বিনা মাইক্রোফোনে শুধু জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিয়ানো বাদনের সঙ্গে ‘বন্দে-মাতরম’ গানটি গেয়ে প্রায় দশহাজার দর্শক-শ্রোতাকে মুগ্ধ এবংউদ্দীপ্ত করেছিলেন, সেই কন্ঠটিকে কোনো প্রযুক্তি দিয়ে ধরে রাখা যায় নি।কিম্বা ইউনিভার্সিটি ইন্সটিটিউট হলে যে কণ্ঠের গান শুনে ’রবিরশ্মি’ বইয়ের লেখক চারুচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় সভা…
আমি, আমরা আর রবীন্দ্রনাথ
এই লেখার কেন্দ্রে চার সদস্য রয়েছে – আমি, আমরা, তুমি এবং রবীন্দ্রনাথ। বাজার ছাড়া সমাজের সর্বত্র, এমনকি এই পত্রিকাতেও এই চার চরিত্র হাত ধরাধরি করেই আছে। বাজারে অবশ্য কেউ কারুর নয়। চলুন, ঢুকে পড়া যাক এই চার সদস্যের মাঝখানে। শুরুতে যে কথাটা ব’লে নেওয়া ভালো, তা হলো, ব্যক্তি যেমন নিজের ‘আমি’কে খুঁজছে প্রতি মুহুর্তে, তেমনি…
রক্তকরবীর খোঁজে
তার কলস্বর শুনতে পাই রোজ —বুকের মধ্যে ছোট যে নদী, তিরতিরেবয়ে যায় পঙ্ক্তির ভিতর দিয়ে।সে নদীখাত দিয়ে বয়ে গেছে কত কত জলআশৈশব, শ্লেট-পেন্সিল, ছেঁড়া হাফপ্যান্ট। বালি নিয়ে খেলতে খেলতে কখনফুটে উঠেছি কাশের বনে,চন্দ্রাহত জ্যোৎস্নায়।শিখে নিয়েছি,রূপে নয় ভালোবাসায় ভোলানোরমন্ত্রলিপি, তোমার গানআনন্দ-বেদনায়, ভাঙনে নির্মাণে। আজ, এই প্রতারক সময়েজমে উঠেছে যখন চারিদিকে আবর্জনার স্তূপ,মরে বেঁচে থাকা এই রুদ্ধ…
স্বর্ণযুগের বেতার নাটক
‘আকাশবাণী কলকাতা। আজকের নাটক…।’ এটুকু শোনার পরই বাংলার শহর ও গ্রামে লক্ষ লক্ষ রেডিওর সামনে অজস্র শ্রোতা নড়েচড়ে বসতেন। শুক্রবার রাত আটটায় সেই নাটক সম্প্রচারিত হতো। গ্রামের চায়ের দোকানে কিংবা চণ্ডীমণ্ডপে অথবা বাড়ির দালানে রেডিওর সামনে শ্রোতারা নাটক শোনার জন্য থাকতেন অধীর প্রতীক্ষায়। শহরেও একই চিত্র। বড়লোকের ড্রয়িংরুমে কিংবা বারো ঘর এক উঠোনের বাড়ির ছাদে…