Tag: Webzine
- ভিড়New
“কী আইন বানাইয়া গেল, কী শাসন দেখাইয়া গেলব্রিটিশ সরকারবেরেন খাটাইয়া বানাইছে জেলখানা-আআবেরেন খাটাইয়া বানাইছে জেলখানা-আআআ”দিনিয়া নদীর পাড়ে একটা মোটা পাকুরগাছের নিচে বসে একমনে গান গাইছে রফিক। রথের দিন গোপীনাথ সাহার আটচালায়, কাঠামো পুজো করে মূর্তি বানানো কাজ শুরু হয়েছে। এখন পুজো যত এগিয়ে এসেছে, মূর্তি ক্রমশঃ প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিকে এগোচ্ছে। গ্রামের দুয়েকটা বাচ্চা প্রায় রোজ…
- বিপিনবিহারী গাঙ্গুলী – অগ্নিযুগের এক অনন্য চরিত্রNew
একটি কাহিনি দিয়ে শুরু করি দেশের স্বাধীনতার জন্য নিবেদিতপ্রাণ এক অকুতোভয় মহাজীবনের কথা। ১৯১৫-এর ২ আগস্ট। চব্বিশ পরগণা জেলার আগরপাড়া স্টেশনে বিকেল ৫ টা ১৪-র ট্রেনে সোদপুরের দিক থেকে নামলেন দুই যুবক ভ্রাতা, ক্ষেত্রনাথ পাল আর ননীনাথ পাল। এঁরা ছিলেন পৌরসভার ট্যাক্স সংগ্রাহক ওরফে সরকার বাবু। দু’জনের সঙ্গেই তখন সারাদিনের সংগ্রহ। আগরপাড়া স্টেশন থেকে যে…
- পাহাড়ের দিনলিপিNew
গত ১৫ ই জুন ছিল আমাদের কলকাতা থেকে কালিম্পং রওনা হবার দিন। তার কিছু আগে থেকেই শুনছি উত্তর বঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা। কলকাতা আর দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন বহুকাল বৃষ্টির দেখা নেই, উত্তর বাংলা তখন ভেসে যাচ্ছে অবিরল ধারাবর্ষণে। অতএব যাত্রাপথে বাধাবিঘ্নের আশঙ্কা যথেষ্ট ছিল, কিন্তু সেরকম কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। তিস্তাবাজারে পৌঁছেই…
- বাদশা খান- শেষ অভিবাদনNew
তোমাকে কখনও দেখিনি খবরকাগজ বা বইয়ের পাতার বাইরে,তবু জানতাম, তুমি আছ —আমাদের জন্মের সাথে পাওয়া আরও কতো সম্পত্তির মতো।তথ্যচিত্রে দেখেছি তোমাকে মুক্তিযুদ্ধের অধ্যায়গুলো জুড়ে ভাস্বর…দেখেছি- কত লম্বা হয়েও গান্ধীর পেছনে অনুগমনে নত তোমাকে,দেখেছি তোমার সামনে নেহরুও কত খাটো– চেষ্টা করে হাত রাখছেন তোমার কাঁধে.ছবিতে দেখেছি, তুমি দাঁড়িয়ে আছ সুভাষচন্দ্রের পাশে,যেন অগ্নির পাশে প্রাচীর– পূর্বের পাশে…
- মেঘদূত ভাবানুবাদ (পর্ব – ৯)New
পূর্বকথনঃ–ধনপতি কুবের। কৈলাসে তার আবাস। নগরীর নাম অলকা। পরিপূর্ণ সৌন্দর্যের ধাম। সুউচ্চ প্রাসাদ ভবন নগরীর আকাশকে স্পর্শ করছে। ভবনের ছাদ শিখীর নৃত্যে ছন্দিত। মধুপ গুঞ্জরিত শতশতদলে সরোবরগুলি সদা আন্দোলিত। রাত্রি নিত্য জ্যোৎস্নাজড়িত। আনন্দাশ্রুছাড়া নয়নসলিল সেখানে বিরল। আর বয়স তো যৌবনেই আবদ্ধ। কুবেরের কর্মসচিব যক্ষ। তরুণবয়স সদ্যপরিণীত। সুন্দরী বধূটি। তপ্ত কাঞ্চনবর্ণা, তন্বী, শিখরীদশনা,পাকা বিম্বফলের মতো অধর। হরিণনয়না, ক্ষীণকটি, নিম্ননাভি। যক্ষের কাজে ঘটে প্রমাদ। মন চলে যায় নিজ কক্ষের বাতায়নপথে। তার কর্মশৈথিল্যে ক্রুদ্ধ কুবের ধৈর্য হারালেন। নির্বাসন দিলেন অলকা থেকে রামগিরি আশ্রমে ।একাকী যক্ষ চলে এলেন সেই আশ্রমে। ক্ষীণদেহ, প্রিয়াবিযুক্ত। কণকবলয় হাত থেকে যাচ্ছে খুলে। ঘনিয়ে এল নীল নব মেঘমালা নিয়ে আষাঢ় মাস। জনপদে যবে প্রবেশিবে তুমি ব্রহ্মাবর্তনাম, দেখিবে ক্ষাত্রসংঘাতক্ষত কুরুক্ষেত্র ধাম। শতদলপরে বর্ষণসম তব, রাজন্যগণে বিদ্ধ করেন অর্জুন পান্ডব। স্বজনের প্রতি প্রীতি পরবশ বলরাম, ত্যজিয়াছিলেন রেবতীলোচন বিম্বিতসুরাপান সরস্বতীর স্বাদু জলপানে তৃপ্ত তাঁহারই সম, বাহিরে কৃষ্ণ, অন্তরে শুচি হইও হে অনুপম। কনখল থেকে নাতিদূরস্থ হিমালয় অবতীর্ণা গঙ্গাসমীপে যাইও হে মেঘ, জহ্নুমুনির কন্যা। একশত ষাট সগরতনয় যাহার পুণ্যপরশে,…
- ২২শে শ্রাবণNew
ঊনআশি বছর আগে বর্ষণ মুখরিত সেই শ্রাবণ দিনটিতে কলকাতা তথা অবিভক্ত বাংলায় সূর্য অস্তমিত হয়েছিল দুপুর বারোটা দশ মিনিটে। এত বড় মাপের সূর্যাস্ত বাঙালির মননে চেতনায় আর আসেনি। চলে গেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । একটি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে বৈভবে, সমৃদ্ধিতে স্বাবলম্বী করে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠা দিয়ে, বিপুল কর্মমুখর একটি পূর্ণ জীবনের পরিক্রমা শেষে অমৃতপথযাত্রী হয়েছিলেন তিনি। বাইশে…
- ক্রীড়নকNew
“তাঁরে জেনে তাঁর পানে চাহি, মৃত্যুরে লঙ্ঘিতে পারো, অন্য পথ নাহি।” – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জীবনের সবচেয়ে বড় সত্য, মৃত্যু। তাকে অতিক্রম করে যুগে যুগে দেশে দেশে, হাসিমুখে বিপ্লবীরা নিজেদের প্রাণ উৎসর্গ করে, হয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়ী। “আপনি মারছেন কেন? গুলি করুন।” “এটা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়, আপনারাই এখানে বহিরাগত, আপনারা চলে যান।” পুলিশের বিরুদ্ধে ছাত্রছাত্রীদের এমন আরও অনেক সদর্প…
- দিনান্তবেলায় শেষের ফসল…New
পাহাড়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেম তো সেই ছোটোবেলা থেকেই । তাই পাহাড় খুব টানতো তাঁকে। আর মংপু ছিল রবীন্দ্রনাথের খুব প্রিয় পাহাড়ি জায়গা। সেখানে তাঁর স্নেহের মৈত্রেয়ীর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করছেন এইবার নিয়ে চতুর্থবার। ১৯৪০শের ৫ই মে তারিখে সেখানে একটি ছোটো উৎসবের আয়োজন করা হল। রবীন্দ্রনাথের আশি-তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান। জন্মদিন দুদিন আগেই সেরে নেওয়ার কারন, দু’এক…
- পরানের সাথে খেলিব আজিকে-১New
মৃত্যুরাখালের গর্বের শেষ নেই। যে জীবন নিয়ে মানুষের এতো অহমিকা, স্বজন-পরিজন সংসারের তৃপ্ত আবহ, অর্থ-কীর্তি-সচ্ছলতার উত্তুঙ্গ মিনার, তা’কে এক ফুঁয়ে সে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। তার সামনে নত হয়ে থাকে রাজার রাজা, ভিখারির ভিখারি, সম্মান-অসম্মানের ভিতে গড়া অনন্ত নক্ষত্রবীথি, পাবকের পবিত্র অগ্নি থেকে মৃত্যুরাখাল কাউকে রেহাই দেয়না। সে তো ভাবতেই পারেনা একটা রক্তমাংসের মানুষ সদানন্দ…