Tag: Rabindranath Tagore
- ও জোনাকি কি সুখে ঐ ডানা দুটি মেলেছ : ব্যতিক্রমী সৃষ্টিNew
শিরোনাম দেখে বন্ধুরা হয়তো বিস্মিত বোধ করছেন। উক্ত গানটির সুর বা ভাববস্তুর মধ্যে এমন কোন বৈশিষ্ট্য আছে যা রবীন্দ্রনাথের বিপুল সৃষ্টিসম্ভারের মধ্যে তাকে অনন্য স্থান দিতে পারে ? এই অতিপরিচিত গানটি রবীন্দ্রসঙ্গীতপ্রেমীদের পছন্দের শীর্ষতালিকায় থাকার কথাই নয়। বরং যেসব গান সচরাচর “বাচ্চাদের গান” অভিধায় চিহ্নিত হয়ে থেকে, এই গানটি সেই শ্রেণির অন্তর্গত ; সাধারণভাবে যেসব…
- রবীন্দ্রসঙ্গীতNew
আগরপাড়ার প্রভাসতীর্থের সভাঘরে ২২ মে ২০২২ তারিখে আয়োজিত রবিচক্রের রবীন্দ্র-স্মরণ সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথের গানে শ্রীমতী মিতা কুন্ডু ও শ্রী দ্বৈপায়ন গোস্বামী। [শিল্পীর অন্যান্য অনুষ্ঠান]
- পেয়েছি ডাক, চলেছি আমি তাইNew
ছুটির দরখাস্ত তো অনেক আগেই দাখিল করেছেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু ২২ শ্রাবণ ১৩৪৭-এ বসে আর ঠিক একটা বছর পরে ওই দিনটিতেই তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে কেই বা জানত! কেই বা সেদিন ভেবেছিল, কুহেলিকা উদ্ঘাটন করে সূর্যের মতো নূতনের আর প্রকাশ ঘটাতে আসবে আর একটাই মাত্র ২৫ বৈশাখ। ছুটিটা তো তাঁর মিলেইছিল, কিন্তু তাঁর আগে কড়ায়-গণ্ডায় পাওনাটা…
- পরানের সাথে খেলিব আজিকে- ২ New
” হে রুদ্র, তোমার দুঃখরূপ, তোমার মৃত্যুরূপ দেখিলে আমরা দুঃখ ও মৃত্যুর মোহ হইতে নিষ্কৃতি পাইয়া তোমাকেই লাভ করি…. তোমার সেই ভীষণ আবির্ভাবের সম্মুখে দাঁড়াইয়া যেন বলিতে পারি, আবিরাবীর্ম এধি, রুদ্র বত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম।”(মাঘ উৎসবের ভাষণ থেকে, ১৩১৪ সাল) কবির ছোটো ছেলে শমীন্দ্র বেড়াতে গিয়েছিলেন মুঙ্গেরে, কবির এক বন্ধুর বাড়িতে। এগারো…
- পাহাড়ের দিনলিপিNew
গত ১৫ ই জুন ছিল আমাদের কলকাতা থেকে কালিম্পং রওনা হবার দিন। তার কিছু আগে থেকেই শুনছি উত্তর বঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা। কলকাতা আর দক্ষিণ বঙ্গের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে যখন বহুকাল বৃষ্টির দেখা নেই, উত্তর বাংলা তখন ভেসে যাচ্ছে অবিরল ধারাবর্ষণে। অতএব যাত্রাপথে বাধাবিঘ্নের আশঙ্কা যথেষ্ট ছিল, কিন্তু সেরকম কোন সমস্যার মুখে পড়তে হয়নি। তিস্তাবাজারে পৌঁছেই…
- ২২শে শ্রাবণNew
ঊনআশি বছর আগে বর্ষণ মুখরিত সেই শ্রাবণ দিনটিতে কলকাতা তথা অবিভক্ত বাংলায় সূর্য অস্তমিত হয়েছিল দুপুর বারোটা দশ মিনিটে। এত বড় মাপের সূর্যাস্ত বাঙালির মননে চেতনায় আর আসেনি। চলে গেছিলেন রবীন্দ্রনাথ । একটি জাতির ভাষা ও সংস্কৃতিকে বৈভবে, সমৃদ্ধিতে স্বাবলম্বী করে, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠা দিয়ে, বিপুল কর্মমুখর একটি পূর্ণ জীবনের পরিক্রমা শেষে অমৃতপথযাত্রী হয়েছিলেন তিনি। বাইশে…
- দিনান্তবেলায় শেষের ফসল…New
পাহাড়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেম তো সেই ছোটোবেলা থেকেই । তাই পাহাড় খুব টানতো তাঁকে। আর মংপু ছিল রবীন্দ্রনাথের খুব প্রিয় পাহাড়ি জায়গা। সেখানে তাঁর স্নেহের মৈত্রেয়ীর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করছেন এইবার নিয়ে চতুর্থবার। ১৯৪০শের ৫ই মে তারিখে সেখানে একটি ছোটো উৎসবের আয়োজন করা হল। রবীন্দ্রনাথের আশি-তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান। জন্মদিন দুদিন আগেই সেরে নেওয়ার কারন, দু’এক…
- পরানের সাথে খেলিব আজিকে-১New
মৃত্যুরাখালের গর্বের শেষ নেই। যে জীবন নিয়ে মানুষের এতো অহমিকা, স্বজন-পরিজন সংসারের তৃপ্ত আবহ, অর্থ-কীর্তি-সচ্ছলতার উত্তুঙ্গ মিনার, তা’কে এক ফুঁয়ে সে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। তার সামনে নত হয়ে থাকে রাজার রাজা, ভিখারির ভিখারি, সম্মান-অসম্মানের ভিতে গড়া অনন্ত নক্ষত্রবীথি, পাবকের পবিত্র অগ্নি থেকে মৃত্যুরাখাল কাউকে রেহাই দেয়না। সে তো ভাবতেই পারেনা একটা রক্তমাংসের মানুষ সদানন্দ…
- বাইশে শ্রাবণের কবিতাNew
তোমার সুরে আকাশজুড়ে ঘন আড়ম্বর মেঘ ডাকছে যেন যুগান্তরে … তামসী-নীল সমুদ্র মুখর গীতবিতানে বৃষ্টি ভেঙে পড়ে। বৃষ্টি পড়ে সে কোন শ্রাবণের স্মৃতিতে বাজে তোমার মল্লার, সে সুর যেন স্বপ্ন নির্জনে নিষাদ ছোঁয়া নীরব হাহাকার। প্রমত্ততা স্বেচ্ছাচারী মেঘে তোমার সুরে তখন উঠি জেগে , মেঘের পরে মেঘ ঘনিয়ে আসে প্রলয় মাতে ভরা সর্বনাশে। বজ্রপাতে মেঘের…