Tag: Bengali Culture
বাংলা গানের উজ্জ্বল কারিগরেরা (পর্ব – ৪)
‘বাংলা গানের কারিগরেরা’ শিরোনামের পর্বান্তরের আলোচনার তৃতীয় পর্বে আমাদের আলোচ্য ছিলেন সলিল চৌধুরী ও অনল চট্টোপাধ্যায়। অতঃপর আমাদের আজকের আলোচনায় আসবেন সলিল চৌধুরীর ঘরানার বাকি দুই অনুসারী কিম্বদন্তীপ্রতিম গীতিকার-সুরকার প্রবীর মজুমদার ও অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বাংলার এই উল্লেখযোগ্য সঙ্গীতপ্রতিভা প্রবীর মজুমদার। ওঁর জীবনকাল ৬ জানুয়ারি ১৯২৯ থেকে ১০ অক্টোবর ১৯৯০। পিতার নাম সুরবন্ধু মজুমদার। তাঁর ব্যক্তিগত…
ভাবানুবাদে তিনটি কালজয়ী কবিতা
The Solitary Reaper – By William Worsworth Behold her, single in the field,Yon solitary Highland Lass!Reaping and singing by herself;Stop here, or gently pass!Alone she cuts and binds the grain,And sings a melancholy strain;O listen! for the Vale profoundIs overflowing with the sound. No Nightingale did ever chauntMore welcome notes to weary bandsOf travellers in…
শ্রী শঙ্খ ঘোষ, শ্রদ্ধাস্পদেষু
(১)মৌন মুখর শব্দধারায়অনেক মুগ্ধ প্রহর হারায়, বোধির গভীর অনিঃশেষে, বইযাপনের সে পার্বণেঘণ্টাধ্বনি ভিতর মনে, তীর্থ ভ্রমণ তোমার দেশে; রবি দীপ্তির সঞ্জীবনীশঙ্খ মধ্যে রুদ্র ধ্বনি গানের মতো নক্ষত্র ছোঁয়, চূর্ণী নদীর ঘূর্ণী স্রোতেফেনিল বিষাদ যখন ফোটে তোমার শব্দ দুঃখে লুটোয়; বধির কানে তারি নির্ঘোষবজ্রে বাজান শ্রী শঙ্খ ঘোষ। (২) হাওয়ায় যখন বারুদ গন্ধদিক হারানো মানুষ অন্ধ,আলোক…
নিভাননী সিরিজ
(১) তখন ছিল সন্তুলন, অল্প ছিল চাওয়া,দপ্তরেতে অলস পাখা, এখন শীতাতপ,বদলিয়াছে যাপন রেখা, উচ্চাশার দিক –পাইয়াছিলে মসী জীবন এক্ষণে ল্যাপটপ। “বদল” শুধু রাজনীতির? মুঢ়তা এ যে ভারি,ভিক্ষুকের বদল আসে, দেবতা বদলায়,উহাই শুধু সুনিশ্চিত সময় সম্ভব,ঘাঁটিয়া দেখো ইতিহাসের পর্চা কোবালায়। আমিও জানি – তুমিও জান ধন্ধ তবু থাকে,বসন্ত যে আসিল দ্বারে – তুমি কি কিছু জান…
রাঢ় বাংলার অন্দরে
মুকুটমণিপুর। কলেজ জীবনে আমার প্রথম ফীল্ড ওয়ার্কের জায়গা। প্রসঙ্গতঃ, আমার পড়াশুনো এমন একটা বিষয় নিয়ে যে, অন্য বিজ্ঞানের শাখার practical টা যেমন laboratory র চারদেওয়ালের মধ্যে হয়, আমাদের laboratory টা হয় উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে, মাঠে-পাহাড়ে, পাথর দেখে দেখে! তো সেই সুবাদে, কলেজের সেকেন্ড ইয়ারে, ১৯৮২ সালে, আমাদের নিয়ে আসা হয়েছিল এই মুকুটমণিপুরে। তখনও এই জায়গা কোনো…
চড়ক ও চৈত্র-সেল
পুনরায় চৈত্র আসিয়া পড়িল। বাংলার মানুষের শীত এবং বসন্তের আতিশয্য কাটিতে না কাটিতে যাবতীয় দাবদাহর প্রতিশ্রুতি লইয়া তিনি প্রকৃতি মঞ্চে আবির্ভূত হন। বাজারে নতুন পঞ্জিকা আসিয়া গিয়াছে। পলাশ শিমূলের রঙে রুদ্ররূপের প্রস্তুতিও অনুভূত হয়। কিছুকাল পূর্বেও গাজন সন্ন্যাসীদিগের সুর করিয়া “বাবা তারকনাথের চরণে সেবা লাগে, মহাদেব” শব্দবন্ধ পাড়ার অলিতে গলিতে ধ্বনিত হইত। গৃহস্থ বাড়ি হইতে…
রাঙিয়ে দিয়ে যাও গো…
অনেকদিন ধরেই মনের মধ্যে কিছু অস্বস্তি উঁকি মারছে। ষাটের দশকের শুরু থেকেই বহুবার শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব আমাকে টেনে নিয়ে গেছে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর হল মনে হচ্ছিল এমন করে আর ‘আমার যাওয়া তো নয় যাওয়া’। পরিস্থিতি বেশ মনে করিয়ে দিচ্ছিল, এমন উৎসবের সঙ্গে এই দেহ আর মনটাকে মেলানো যাচ্ছে না। কিন্তু অনেক মধুর মুহূর্তে এখনও ‘গীতবিতান’…
চারণকবি মুকুন্দদাস ও সেকালের স্বদেশী যাত্রা
মঞ্চ ঘিরে গ্রামবাসীদের ভিড়। যাত্রাপালা দেখে সকলের রক্ত উত্তেজনায় টগবগ করে ফুটছে। প্রধান অভিনেতার একের পর এক গান দোলা দিচ্ছে তাঁদের হৃদয়ে। ইংরেজ শাসকের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত হচ্ছে ক্ষোভ। স্বদেশী গানে মথিত রাতের আকাশ। ‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে, / মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে। কিংবা ‘বান এসেছে মরা গাঙে খুলতে হবে নাও। তোমরা এখনো ঘুমাও।’…