
(১)
মৌন মুখর শব্দধারায়
অনেক মুগ্ধ প্রহর হারায়,
বোধির গভীর অনিঃশেষে,
বইযাপনের সে পার্বণে
ঘণ্টাধ্বনি ভিতর মনে,
তীর্থ ভ্রমণ তোমার দেশে;
রবি দীপ্তির সঞ্জীবনী
শঙ্খ মধ্যে রুদ্র ধ্বনি
গানের মতো নক্ষত্র ছোঁয়,
চূর্ণী নদীর ঘূর্ণী স্রোতে
ফেনিল বিষাদ যখন ফোটে
তোমার শব্দ দুঃখে লুটোয়;
বধির কানে তারি নির্ঘোষ
বজ্রে বাজান শ্রী শঙ্খ ঘোষ।

(২)
হাওয়ায় যখন বারুদ গন্ধ
দিক হারানো মানুষ অন্ধ,
আলোক হস্তে স্থিতপ্রজ্ঞ
মানুষটি তাঁর কর্মযজ্ঞ
বোধাগ্নিতে জ্বেলে নিয়ে
শিল্পে ফোটান জীবন দিয়ে,
বিষাদ ভরেন সুগন্ধতে
গদ্য , পদ্য , প্রবন্ধতে ,
নান্দনিকের বিদ্রোহী রোষ
তিনিই লেখেন শ্রী শঙ্খ ঘোষ ।
রবিতীর্থের হাজার দুয়ার
তিনিই দেখান বিগ্ৰহ তার
মানবাত্মার অজস্রতায়
প্রকীর্ণ গান দীপ্ত লেখায়;
তিনিই চেনান সে অমরকোষ –
জাতির বিবেক শ্রী শঙ্খ ঘোষ।