শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আলোচনা ও চর্চা

বাবা কা নগরী – আমাদের সাড়ে তিন হাত জমি

(দ্বিতীয় পর্ব)

काशी में इक मिला जुलाहा
बोला : हमको ज़रा बताना
जो क़मीज़ पहनी है तुमने
क्या उसमें नहिं ताना-बाना
(ताना-बाना- हरि मृदुल)
(কাশীতে এক জোলার সঙ্গে দেখা হলো। সে বলে, আমাকে কী বলতে পারবে? যে কামিজটা তুমি পরে আছো,
তাতে কি টানা-পোড়েন নেই?)
(তানাবানা-হরি মৃদুল)

আমাদের সভ্যতার গর্ব গঙ্গা-জমনি তহজীব। অর্থাৎ এই সংস্কৃতির ভিত্তিতে আছে এদেশের দুই প্রধান নদী, গঙ্গা ও যমুনার উর্বর পলি মাটি। সম্প্রসারিত অর্থে, গঙ্গা নদী আর্য সভ্যতা এবং যমুনা নদী ইসলামি সভ্যতার প্রতীক। ইতিহাসের আদিকাল থেকে সমন্বয়ের ঐতিহ্যই ভারতীয় সভ্যতার প্রাণ ভোমরা।
এই প্রত্যয়টি বার বার বর্বর পশুশক্তির মূঢ় আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে আক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু এ দেশের মানুষ তাকে সপ্রেম স্নেহে শিরোধার্য করে রেখেছে চিরকাল। অন্ধযুগ আসে, চলে যায়। আমাদের গঙ্গা-জমনি তহজীব আরও উজ্জ্বল প্রত্যয়ে এদেশকে ঋদ্ধ করে তোলে।
এদেশে আর্য ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতি আসার ঢের আগে থেকে স্থানীয় কৌম সমাজের আধ্যাত্মিক বিশ্বাসকেন্দ্রিত ছিল নানা রকম প্রকৃতি পূজার ঐতিহ্যে। পরবর্তীকালে সেগুলি আগমশাস্ত্রে সংকলিত হয়। এই বিশ্বাস অনুযায়ী মানবদেহেই ঈশ্বরের অধিষ্ঠান। ঈশ্বরই সেই তন্তুবায়, যিনি পুরুষ ও প্রকৃতির তন্তুসূত্র দিয়ে মানবদেহ বয়ন করেন। যাঁরা তাঁতযন্ত্র দেখেছেন, তাঁরা জানেন। পরস্পর সমকোণে থাকা তন্তুসূত্রগুলি, যাদের নাম বাংলায় টানা ও পোড়েন, বিন্যস্ত হয়ে কাপড় তৈরি হয়।

আগমশাস্ত্রের সঙ্গে ব্রাহ্মণ্যধর্মের সংযোগ হবার পর এই আধ্যাত্মিক পরম্পরাটিকে তাঁত বা তন্ত্র নামে চিহ্নিত করা শুরু হয়। বাংলা টানা ও পোড়েন পরিভাষাগুলিকে হিন্দিতে তানা-বানা বলা হয়। ভারতবর্ষের অধিবাসীদের বোধ ও মেধাশরীর বিভিন্ন সংস্কৃতির তন্তুসূত্রের মিলনে গঠিত হয়। আমাদের পরম্পরা কোনও একক সংস্কৃতিজাত নয়। এদেশের সমাজজীবনে তার নামই তানা-বানা বা গঙ্গা-জমনি তহজীব। বারাণসীকে কেন আমাদের সংস্কৃতির নাভিস্থল বলা হয়? কারণ এদেশের প্রাচীনতম এই শহরটি ভারতীয় সংস্কৃতির মূল সুর, অর্থাৎ সমন্বয়ী তানা-বানা তহজীবের একটি প্রধান কেন্দ্র।
প্রাচীনতার প্রসঙ্গ যদি আসে, তবে ধরে নেওয়া হয় বারাণসী ও আর্য সভ্যতা সমকালীন প্রপঞ্চ। কিন্তু আদতে বারাণসীতে আর্য অনুপ্রবেশ ঘটার বহু আগেই তার জন্ম হয়েছে। একটা প্রচলিত ধারণা রয়েছে হিন্দুধর্ম শাশ্বত, আবহমান, প্রাচীনতম। এই জন্য নবম শতকে আদি শংকর এর নাম দেন সনাতন ধর্ম। কিন্তু
প্রকৃত পক্ষে এর প্রাচীনতা কতটা?

খুঁজতে গেলে পাওয়া যাবে, হিন্দু ধর্ম কত প্রাচীন তা কেউ জানেনা। অথবা সবাই নিজের মতো করে জানে। দশ থেকে এক, যে কোনও সংখ্যার পর তিনটে শূন্য বসিয়ে বক্তব্য রাখার লোকজন চারদিকে গিজগিজ করে।

ফরাসি ডাক্তার বের্নিয়ের সাহেব একবার বনারসে এসে পণ্ডিতদের সঙ্গে আলোচনা করে বুঝতে চেষ্টা করেছিলেন কতদিন ধরে হিন্দু ধর্ম পৃথিবীতে রাজত্ব করছে। কাশীর পণ্ডিতরা তাঁকে এত রকম
সাক্ষ্যপ্রমাণ দিয়ে এর প্রাচীনত্ব প্রমাণ করে দিয়েছিলেন যে সাহেব কিছু বুঝে, বেশিটাই না বুঝে হিন্দুধর্ম বড় প্রাচীন বলতে বলতে বিদায় হয়েছিলেন। দীর্ঘকাল ধরে নানা পণ্ডিত এখানকার অসংখ্য
পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন পরীক্ষা করে প্রয়াস করেছেন এই শহরের বয়স নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসার। কিন্তু কোনও ঐক্যমত্য এখনও হতে পারেনি। কবে হবে কেউ জানেনা।

কিংবদন্তি বলে, যখন কিস্যু সৃষ্টি হয়নি, তখন ভগবান শংকর তাঁর বাসস্থান কাশীকে নিজের ত্রিশূলের উপর স্থাপন করে ঘুরে বেড়াতেন। তার পর যখন চরাচর সৃষ্টি হলো তখন পৃথিবীর ঠিক মাঝখানে একটা ভাল জায়গা দেখে তিনি সেই ত্রিশূলটি পুঁতে দিলেন। বনারস শহর তখন থেকে সেই জায়গাতেই বিরাজমান। তা এখন এই বিশ্বচরাচর কবে সৃষ্টি হয়েছে সেটা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হলেই বনারসের বয়সের ধাঁধাটা সমাধান হয়ে যাবে।

যেহেতু এই স্থানটি সৃষ্টির আগে থেকেই রয়েছে, তাই একে অপুনর্ভবভূমি বলা হয়ে থাকে। এই জমিতে শিবের মৌরসিপট্টা থাকার সুবাদে একে রুদ্রাবাসও বলা হয়ে থাকে। পুরাকালে গাঙ্গেয় অববাহিকায় অত্যন্ত উর্বর ভূমি হওয়ার জন্য এই স্থান হরিৎময় ছিল। তাই আনন্দবনবা আনন্দকানন নামও পাওয়া যায়। সেই সব অরণ্যে প্রচুর মুনিঋষিরা বসবাস করতেন, তাই এ ছিল তপঃস্থলী। ধীরে ধীরে জনসমাগম বাড়তে থাকায় তাদের অন্তিমসংস্কার যখন বেশ বড়ো মাত্রা নিল তখন এই স্থানকে মহাশ্মশান ও বলা হতে লাগল।

তখনও পর্যন্ত কাশী নামটি পাওয়া যায়না। কারণ এই স্থানে আর্য বসতি ছিলনা। ছিল শুধু অনার্য দেবতা শিবের পুজো আর শিবের চ্যালাচামুন্ডা যত অরণ্যবাসী ভূত-গণ-যক্ষ-রক্ষ জাতির অনার্য মানবগোষ্ঠীর বসতি। আর্যদের চোখে তারা ছিল অমানুষ। শিবের শ্মশানরাজ হবার গপ্পোও এখান থেকেই তৈরি হয়।

আর্যযুগে কাশ্য নামে রাজপুত্র এখানে এসে বসবাস করতে শুরু করেন। তাঁর নামেই এই নগরীর কাশী নাম নসিব হয়েছিল। এই কাশ্য উত্তরপশ্চিম থেকে আসা কোনও আর্য নৃপতির সন্তান ছিলেন। কোনও কারণে পিতৃসম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার জন্য পূর্বদিকে এই অরণ্যপ্রদেশে স্বেচ্ছা নির্বাসন নিয়েছিলেন। এই সময় কাশীতে কোনও কেন্দ্রীয় রাজার শাসন ছিলনা। অনার্যদের নিজস্ব রীতি অনুযায়ী আদিম গণতান্ত্রিক পদ্ধতির প্রশাসনই এখানে প্রচলিত ছিল। কাশ্য এখানে আর্যধারার পুরুষানুক্রমিক রাজতন্ত্র প্রবর্তন করেন। এভাবেই বহুদিন পরে কাশ্যের প্রপৌত্র কাশী নগরীকে রাজধানী করে একটি রাজ্যের পত্তন করেন।

কাশ্যের বংশধরই ছিলেন দিবোদাস। তিনি নিজেকে মহারাজ বলতেন। একবার হৈহয় বংশের রাজা কাশী আক্রমণ করলে মহারাজ দিবোদাস কাশী থেকে পলায়ন করে পশ্চিমে গঙ্গা-গোমতীর সঙ্গমদেশে বসতি স্থাপন করেন। বেশ কিছুদিন পরে শক্তিসঞ্চয় করে তিনি কাশী ফিরে আসেন এবং হৈহয়দের যুদ্ধে পরাজিত করে কাশী পুনর্দখল করেন। দিবোদাসের ধারণা হয় হৈহয় অধিকারে থাকার জন্য কাশী নগরী অপবিত্র হয়ে পড়েছে। তার থেকে মুক্ত হবার জন্য তিনি দশটি অশ্বমেধ যজ্ঞ করেন। যে স্থানে এই যজ্ঞ করা হয়েছিল, সেখানেই আজকের দশাশ্বমেধ ঘাট। দিবোদাস বহিঃশত্রুর আক্রমণ থেকে কাশীকে সুরক্ষিত করার জন্য নগরীর চারদিকে পরিখা খনন করেন। তাঁর বংশ প্রায় পাঁচশো বছর এখানে রাজত্ব করে। এতোদূর পর্যন্ত লোককথার এলাকা, ইতিহাস এখনও এসে পৌঁছোয়নি কাশীতে।

ঋগবেদ, স্কন্দপুরাণ, রামায়ণ, মহাভারতসহ বহু ভারতীয় পুরাণকথায় কাশীর বিশেষ উল্লেখ রয়েছে। সাতশো খ্রিস্টপূর্বাব্দে বৌদ্ধসাহিত্যে এখানে ব্রহ্মদত্ত বংশের রাজাদের ইতিবৃত্ত পাওয়া যায়। সেই সময় থেকেই কাশী রাজ্যের নাম বারাণসী লেখা হতে থাকে। একটি মত অনুযায়ী বরুণা ও অসী নদীর সঙ্গমক্ষেত্র হবার
জন্য এই নাম হয়। কিন্তু অন্য মতও রয়েছে। তবে কাশী প্রথম শিরোনামে উঠে আসে যখন শাক্যমুনি বুদ্ধ এখানকার ঋষিপত্তনের মৃগদাবে বসতি করেছিলেন।
বুদ্ধের প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে কাশীর প্রসিদ্ধিও বাড়তে থাকে। যার ফলে প্রতিবেশী নাগ, সুঙ্গ ও কন্ব বংশের রাজারা ক্রমাগতভাবে কাশী আক্রমণ করতে তৎপর হয়। সেই সময়ের অন্ধকার ইতিহাস সারনাথের প্রত্নসামগ্রীতে মুদ্রিত রয়েছে।

সিকন্দর শাহের ফৌজ কাশীতে এসেছিলো কিনা, ঠিক জানা নেই। কাশীর প্রথম উল্লেখযোগ্য বিদেশী অভ্যাগত কুশান সম্রাট কণিষ্ক। কুশানরা ছিলো পামির আর আমু দরিয়ার দক্ষিণে ব্যাক্ট্রিয়া দেশের লোক। সিকন্দর শাহ যেমন ভারত ইতিহাসে একটা মোড় দিয়ে গিয়েছিলেন, কুশান সম্রাট কণিষ্কও ছিলেন সেরকম এলেমদার লোক। কণিষ্কই প্রথম ‘বিদেশী’ প্রভাবশালী রাজা, যিনি বুদ্ধ ও তাঁর দর্শনকে ভারতবর্ষের সীমার বাইরে বিস্তারিতভাবে প্রচার করেছিলেন। এখানে আমি শ্রীলংকাকে বৃহত্তর ভারতবর্ষের অংশই
মনে করছি। প্রথম খ্রিস্টিয় শতকে এদেশে এসে কণিষ্ক ঋষিপত্তনে সারনাথকে বৌদ্ধধর্মের একটি মুখ্য কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলেন। আসলে আর্যাবর্তের মূলরাজপথ, যেটা পাটলিপুত্ত হয়ে তক্ষশিলা পর্যন্ত যেত, বারাণসী ছিল তার একটা প্রধান কেন্দ্র। চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ শতক পর্যন্ত গুপ্তযুগে কাশীর গৌরব শিখর স্পর্শ করে। তারপর সপ্তম শতকে মৌখরি ও বর্ধন রাজত্বেও কাশীর গৌরব অক্ষুণ্ণ থাকে।

হর্ষবর্ধন কাশীতে এসেই বৌদ্ধধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হন। অষ্টম শতকে প্রথমে পাল রাজারা ও তার পর প্রতিহার রাজারা এসে কাশীতে রাজত্ব করেন। প্রতিহারবংশীয়দের থেকে ক্ষমতা যায় কলচুরি রাজাদের হাতে। নবম শতকে আদি শংকরাচার্য কাশী বিশ্বনাথকে উপলক্ষ করে শৈবউপাসকদের একত্র করেন ও তখন
থেকে বারাণসী এদেশে শৈবসমষ্টির মূলকেন্দ্র হয়ে ওঠে। এই সময় কাশীতে সহস্রাধিক মন্দির গড়ে উঠেছিল। কিন্তু দ্বাদশ শতকের শেষ থেকে মুসলিম শাসকদের দৌলতে কাশীর দুঃসময় শুরু হয়। প্রথমে মুহম্মদ ঘুরি, তার পর অলাউদ্দিন খিলজি, বারবাক শাহ কালাপাহাড়, কুতুবুদ্দিন আইবক, ফিরোজ শাহ,
সিকন্দর লোদি বারাণসীকে ধূলিসাৎ করে দেন। যেহেতু সেই সময় বারাণসী ছিলো সারাদেশে সনাতনধর্মীয়দের প্রধানতম কেন্দ্র, মুসলিম রাজাদের ধারণা ছিলো কাশীকে ধংস করতে পারলে সারাদেশে পৌত্তলিকদের ধর্মকে চূড়ান্ত আঘাত করা যাবে। কাশী অতীতের মতো আবার মহাশ্মশানে পরিণত হয়।

এই মহাশ্মশান থেকেই আবার ফিনিক্সের মতো জেগে ওঠে ভারতবর্ষের চিরকালীন সমন্বয়ের সাধনা।
চতুর্দশ শতকে একজন মানুষ জন্মান বারাণসীতে। তাঁর নাম কবীর। তার পরে আসেন রবিদাস এবং সুদূর তালওয়ান্ডি গ্রাম থেকে ভারতাত্মার খোঁজে পরিব্রাজক নানক। ভারতবর্ষের সবার উপর মানুষ সত্য এই বিশ্বাস এই সব মানুষেরা আবার সপ্রমাণ করেন এবং তার কেন্দ্রও ছিল বারাণসী। একদা সহস্র মন্দিরের
শহর কাশীতে কলচুরি রাজা নির্মিত কর্দমেশ্বর শিবের মন্দিরটিই আজ প্রাচীনতম। এটি দশম-একাদশ শতকের নির্মাণ। আর যত কিছু মন্দির/দেবস্থান আজ কাশীতে দেখা যায়, সবই পরবর্তীকালের। ১৩০০ সালে অলাউদ্দিন খলজি থেকে সপ্তদশ শতকে ঔরঙ্গজীব পর্যন্ত সমস্ত সম্রাট কাশীতে বিনাশযজ্ঞ ব্যতীত
আর কিছু করেননি। মুঘল আমলেই এই শহরের নাম বনারস হয়ে ওঠে। ঔরঙ্গজীব সর্বদাই নতুন কিছু করতেন।
বনারসের সরকারি নাম তাঁর আমলে হয়ে গিয়েছিলো মুহম্মদাবাদ। বারাণসী ব্যতীত দেশের আর একটি প্রাচীনতম শহর পাটনাও তাঁর নাতির নামে বদলে আজিমাবাদ করে দিয়েছিলেন। নাম বদলে জাত বদলানোর গা-জোয়ারি প্রয়াস অওরঙ্গজেবের সঙ্গেই শেষ হয়ে যায়নি। তাঁর উত্তরাধিকারীরা আজও রাতারাতি নাম
বদলে একটা ঐতিহাসিক পরম্পরার চরিত্র বদল করতে অতি সক্রিয় থাকে। মূঢ় মানুষের ইতিহাস জ্ঞান থাকে না। চাপিয়ে দেওয়া নামপদ সময়ের দমকা হাওয়ায় কোথায় উড়ে যায় এই সব শাসক তার খোঁজ রাখে না। আমাদের দেশের বারাণসী এবং পাটনা আর মিশরের কাহিরা (কায়রো) এবং ফিলিস্তিনের জেরুজালেম, এই চারটি শহরের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে। এদের মধ্যে কোন জনপদটি প্রাচীনতম জীবিত শহরের মর্যাদা দাবি করতে পারে। ইংরেজ আমলে বনারস, বেনারস হয়ে যায়। স্বাধীন ভারতে ডঃ সম্পূর্ণানন্দের উদ্যোগে গৌতম বুদ্ধের ২৫০০তম জন্মদিনে ( যদিও এখনও স্থির হয়নি বুদ্ধের সর্বসম্মত জন্মসাল কী) এই শহরের নামে আবার সরকারিভাবে বারাণসী ফিরে আসে।

তবে নামে আর কীই বা আসে যায়? একজন ভারতীয়, সে দেশের যেকোন প্রান্তেই শিকড় রাখুক না কেন, বনারসের টান উপেক্ষা করতে পারেনা।

‘খাক ভি জিস জমীঁ কা পারস হ্যাঁয়,
শহর মশহুর য়হি বনারস হ্যাঁয়।’

Facebook Comments Box

আপনি এই পত্রিকা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।

নতুন লেখা বা ভিডিও সংযোজন, অথবা রবিচক্রের অন্যান্য খবরাখবর সম্পর্কে জানতে, ইমেল নথিভুক্ত করতে পারেন।

We don’t spam! Read our privacy policy for more information.