Category: সোমেন দে
দিনান্তবেলায় শেষের ফসল…
পাহাড়ের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের প্রেম তো সেই ছোটোবেলা থেকেই । তাই পাহাড় খুব টানতো তাঁকে। আর মংপু ছিল রবীন্দ্রনাথের খুব প্রিয় পাহাড়ি জায়গা। সেখানে তাঁর স্নেহের মৈত্রেয়ীর বাড়িতে আতিথ্য গ্রহণ করছেন এইবার নিয়ে চতুর্থবার। ১৯৪০শের ৫ই মে তারিখে সেখানে একটি ছোটো উৎসবের আয়োজন করা হল। রবীন্দ্রনাথের আশি-তম জন্মদিনের অনুষ্ঠান। জন্মদিন দুদিন আগেই সেরে নেওয়ার কারন, দু’এক…
কোম্পানি-আমলের কোলকাতা এবং বাঙালির কারিগরি কেরামতি
রবীন্দ্রনাথের জীবনস্মৃতিতে সীতানাথ ঘোষ নামের এক ব্যাক্তির কথা উল্লেখ করেছিলেন। সীতানাথ ঘোষ রবীন্দ্রনাথের প্রাকৃত বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। কিন্তু তাঁর নেশা ছিল নানা রকমের কলকব্জা বানানো। ১৮৭০ সালের হিন্দু মেলায় সীতানাথ ঘোষ তাঁর নিজের তৈরি এয়ার পাম্প এবং যন্ত্র-চালিত তাঁত প্রদর্শন করেছিলেন। তাঁর উদ্ভাবিত যন্ত্রের শেষ পর্যন্ত কি হয়েছিল তা বিশেষ জানা না গেলেও সেই সময়ে…
অরুন্ধতী একটি নক্ষত্রের নাম
শেষের কবিতায় অমিত রায় বলেছিলেন – কমল-হীরের পাথরটাকেই বলে বিদ্যে, আর ওর থেকে যে আলো ঠিকরে পড়ে তাকেই বলে কালচার । পাথরের ভার আছে, আলোর আছে দীপ্তি । অনেক মানুষের ক্ষেত্রে সেই কালচারের আলোর দীপ্তি দৃষ্টি দিয়ে প্রত্যক্ষ হয় না, বোধ দিয়ে অনুভব করে নিতে হয়। কিন্তু এক একজন মানুষ শুধু উপস্থিতি দিয়েই এই রকম…
প্রতিপক্ষের নাম রবীন্দ্রনাথ
এত বড় একটা জীবন, এত রকমের কর্মকাণ্ড, দিকবিদিকে এত পরিব্যাপ্ত এবং বিচিত্র সৃজনের ভান্ডার, দেশে-বিদেশে এত বিবিধ ঘটনার মধ্যে তাঁর কিছু স্বেচ্ছায়, কিছু অনিচ্ছায় জড়িয়ে পড়া, কত রকম বিতর্কিত issue তে তাঁর নিজস্ব অভিমতকে দেশে বিদেশে নিঃসঙ্কোচে উপস্থাপিত করা, একটি ব্যাতিক্রমী প্রতিষ্ঠানকে শূন্য থেকে একক প্রচেষ্টায় একটু একটু করে গড়ে তোলা, বড় সড় একটা জমিদারী…
চিরন্তন সত্যজিৎ
বৈশাখ যেন একটা উগ্রপন্থী স্বভাবের মাস। বসন্ত ঋতুর যা কিছু পেলব কোমল হাবভাব চৈত্রশেষে অবশিষ্ট ছিল, তাকে যেন এক ঝটকায় সরিয়ে দিয়ে একেবারে মিলিটারি মেজাজে বৈশাখের আবির্ভাব। সুর্য্য হঠাৎ খেপে লাল, বাতাস সহসা আগুন পারা। তার মধ্যে আবার মাঝে মাঝে আকাশ দেখায় ঝড়বাদলের চোখরাঙানি। এই মাস ঠিক শান্তির নয়, স্বস্তির নয়। তবুও এই বৈশাখের কাছে…
বাঙালির বিলেত যাত্রার আদি পর্ব এবং বেঙ্গল রেনেসাঁ
বাঙালির বিলেত-যাত্রা কি বাংলার নবজাগরণে পথ দেখিয়েছিল? করেছিল রক্তসঞ্চার? সে যুগের বাঙালির বিলেত-যাত্রার বর্ণময় ইতিহাসের পাতায় চোখ রেখে উত্তর খুঁজেছেন শ্রী সোমেন দে।