শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আলোচনা ও চর্চা

দুখিরামের অবাক পৃথিবী দর্শন

कुछ कफस की तिलियों से छन रहा है नूर सा,
कुछ फ़ैज़ा कुछ हसरत-ए-परवाज़ की बातें करो।

— फ़िराक़ गोरखपुरी

কটা গরাদ, মধ্যে দিয়ে চুইয়ে আসে আলো,
মুক্ত আকাশ, আর কিছুটা ওড়ার কথা বলো।

দুখিরাম তার নাতি ক্ষুদ্র জীবনে দু/একবার জেলে/লক আপে গিয়েছে।
এবার একটি স্বাভাবিক হিরণ্ময় নীরবতা। চলচ্চিত্রের ভাষায় একে freez shot-ও বলা যেতে পারে।
ক্যামেরা গড়ালে পরে তিন রকম ভাবে চিত্রনাট্য লেখা যেতে পারে।
প্রথমত ক্লোজ আপ – দুখিরামের শুভানুধ্যায়ীরা কিছুক্ষণ বত্রিশ পাটি দর্শন করাবেন। না না, হাসি নয় – মনে রাখবেন গভীর বিস্ময়েও সেই বত্রিশ পাটিই প্রদর্শিত হয়, একটু অন্য ভাবে। বিশ্বাস-অবিশ্বাসের তীব্র দোলাচলে থাকবেন তাঁরা । অসম্ভব, তবে ইদানীং যেভাবে যখন তখন ইন্দ্রপতন হচ্ছে তাতে দুখিরাম কোন ছার। হয়তো, হয়তো বা কারুর অভিশাপে কিম্বা কারুবাসনায় তার কৃষ্ণ জন্ম হল। সংলাপ নেই, চোখ বন্ধ হবে। ফেড আউট।

দ্বিতীয়ত মিড লং শট – যারা আমাদের চারপাশে যে কোনো ব্যাপারে – তা ভারতের বৈদেশিক নীতি হোক কিম্বা বিরাটের ব্যাটে রান-খরা – দশ সেকেন্ডের মধ্যে শেষ কথা জানিয়ে থাকেন, তারা বলবেন “এ জানাই ছিল। তোমরা যাই ভাবো – ও যে একটি বাস্তু ঘুঘু – সে বুঝতে অন্তত আমার দেরি হয়নি। চালাকি না চলিষ্যতি।” বাঁ চোখের ঈষৎ কুঞ্চন তারপর – ফ্রিজ শট আবার।
একটি তৃতীয় বিকল্পও হতে পারে। লং শট – বিরল সংখ্যক পাঠক – যারা বিষয়টির পরিপাক ক্রিয়ায় সময় দেন এবং নানান ভাবে আলোকপাত করে তার পর যবনিকা তোলেন – তারা ‘সুন্দর’ ভাবে বলবেন – “হুম। আন্দামান গিয়েছিল, সেলুলার জেল। কিম্বা সদ্য জনসাধারণের জন্যে খুলে দেওয়া প্রেসিডেন্সি সং-শোধনাগারের যাদুঘরটিও হতে পারে। আর কিছুই নয় – এ হল অপাঠ্য লেখাটি যাতে শেষ পর্যন্ত পড়া হয় তার বাণিজ্যিক চাল। হুম।” ঐশ্বরিক হাসি। জুম টু বৈঠকখানার জয়ন্ত – মানিক।

তিনটি অভিঘাত সত্যি আবার সত্যি নয়।

বিড়ম্বনার কথা। দুখিরাম সেখানেই গিয়েছিল যেখানে সাজাপ্রাপ্ত বা বিচারাধীন মানুষ থাকেন। মানুষ কথাটি লিখতে হচ্ছে কারণ আমাদের ভাবনায় মানুষের যে ভাবে থাকা উচিত, নূন্যতম যাপন সুবিধা সহ, সে স্থান গুলি তেমন নয়। তবে কেমন? তা আর বর্ণনায় কাজ কি? মুখবন্ধ বড় না করে বরং মুখ খোলা যাক।


বছর তিরিশেক আগে প্রথম যে শহরতলীতে দুখিরামের জেল দর্শন – তাকে একটু সাঁটে বলতে গেলে বলা যায় – সে স্থান বিভূতিভূষণের (বাঁড়ুজ্জে) বিশেষ প্রিয়। দুখিরামের এক দক্ষিণ ভারতীয় সহকর্মীর স্ত্রী গ্যাস স্টোভের আগুনে দগ্ধ হন। হাসপাতালে চার/ পাঁচ দিনের বিফল সংগ্রামের পর তিনি ঈশ্বরীয় আশ্রয়ে ফিরে যান। ভদ্রমহিলা হিন্দি জানতেন না। কাজেই তাঁর মাতৃভাষায় দেওয়া মৃত্যুকালীন জবানবন্দীর বিন্দু বিসর্গ চিকিৎসকেরা বুঝতে পারেননি। ঘটনাটি প্রথম থেকেই শান্তি রক্ষকদের গোচরে ছিল তবে তাঁরা তেমন গা ঘামান নি। কিন্তু জীবন-কাহিনী শেষ হতেই খুনের দায় সোপর্দ করে সহকর্মীকে জেলে ভরলেন। তিনি আধা সরকারি সংস্থার নিয়মানুসারে নিলম্বিত হলেন। দুখিরাম একটু একাকী সহমর্মী হল। সে কালে দুখিরাম প্রায়শই বনের মোষ তাড়াত, ন্যাড়ার মতই একা বার বার যেত বেলতলায়। (এখনো যায়, তবে – কুলতলায়, কারণ কুলের আঘাতে cool থাকা যায়।) কোন গতিকে দু/একজনকে সংগ্রহ করে গেল জেলবন্দী সহকর্মী দর্শনে। হাঁটু-ডোবা সুবর্ণরেখার জল, তারপর একটু টিলা উজিয়ে চার পাঁচটি ইঁটের উপর দাঁড়াতে পারলেই সেই জানালা। যেখানে দেখা দেবে একটি সংখ্যা। হ্যাঁ – সংখ্যা। কারাগারে কৃষ্ণের ও নাম ছিল না, তিনি ছিলেন সঙ্কেতে অষ্টম গর্ভ। এখনও মানুষ কোন একটি সংখ্যার দ্বারাই পরিচিত হন, নাম নেয় না কেউ। জানলার বাইরে আবার বহু সংখ্যায় দর্শনার্থী। কাজেই দু/ তিন মিনিটের বেশী জানলা আটকে থাকা যায় না। তার মধ্যেই ক্রন্দনরত সহকর্মী ইংরেজিতে জানালেন শৌচাগার যাবার যোগ্য নয়, খাবার পাচ্ছেন না, শোবার জায়গা নেই, কম্বলও নেই। আছে বলতে কম্বল ধোলাইয়ের ভয়। অসহায় ও হতবুদ্ধি দুখিরাম মণ্ডলী। আর্তকে সরিয়ে এবার জানলায় এলেন ত্রাতা।

=আপ খিড়কি মে আইয়ে, দাদা বুলা রহে হৈ।
দাদা? এখানে? বিপদতারন মধুসূদন দাদাই হবেন বুঝি। জানলা দিয়ে ভিতর বাগে উঁকি দেওয়া গেল।
= আপ কা সাথি? ভলা আদমি হৈ। ফঁস গয়া। চিন্তা কি কোই বাত নহি। হম দেখ লেঙ্গে।”
বললেন ভিতরের দাদা। তিনিও কয়েদি তবে প্রকারভেদ আছে। একটি জল চৌকীতে বসে, খাঁড়া ছাড়া মহিষাসুরোপম। এক হাতে বিড়ি অন্য হাতে বরাভয়। দু’জন পারিষদ হাত/ পা টিপতে ব্যস্ত।
= “বড়ি কিরপা আপকি। “
= আরে না ভাইয়া। কিরপা উপর বালে কি। মেরে লিয়ে তো স্রিফ হিসাব। মহিনা মে পাঁচ শো রুপইয়া পঁহুছা দিজিয়েগা। খানা কম্বল সব কুছ মিলতে রহেগা।”
= “পাঁচশ ?” ( মনে রাখতে হবে তিন দশক আগেকার কথা।)
= “আপ লোগ বাবু সাহাব হো। কয়া ফর্ক পড়তা? হমে ইতনে লোগো কো দেখনা পড়তা হৈ। পর আপ কি মর্জি। নহি দেনে সে ………”
= “নহি নহি পৌঁছায়া জায়গা। আপ জরা উন কো…”
= “বিলকুল, বিলকুল। আপ ফিক্র না করে। অব রাস্তা নাপিয়ে ঔর অগলা কো আনে দিজিয়ে।”


সংক্ষিপ্ত সওয়াল জবাব, গতিময় সিদ্ধান্ত। কোনো প্রশ্ন নয়। রন্ধ্র পথে এই মাসহারা (!) পদ্ধতি চালু ছিল প্রায় দেড় বছর। সহকর্মী জামিন পাওয়া ইস্তক। সে জামিনের ইতিহাসও বিচিত্র। আদালতে বাদী নেই (শ্বশুরবাড়ির লোক অন্ধ্র নিবাসী, আসেন না) বিবাদীও দর্শন রহিত ( জেলের সরকারি গাড়ি খারাপ, আর বেসরকারি গাড়িতে বিবাদী পাঠাতে নারাজ কারাধ্যক্ষ)। শুধু অধিবক্তার বক্তব্য। তারিখ পে তারিখ। ধারা ৩০০, ধারা ৩০২, ধারা ৩০৪ বি, প্রায় সহস্র ধারার বরষন হচ্ছে তার উপর। জামিনের জো নেই। নিম্ন আদালতের জল উঠল উচ্চ আদালতে। বোধহয় বার দশেক এমন হওয়ার পরে তিত বিরক্ত বিচারক জামিন দিলেন। সহকর্মী নিজের হাল নিজে ধরলেন।প্রায় বছর পাঁচেক হাল চালানোর পর প্রমানাভাবে পুরোপুরি খালাস হলেন। জামিনদার দুখিরাম হাঁফ ছেড়ে বাঁচল।

আরেকটি অন্য রকম।

সাড়ে দশ সকালে বিপন্না এক সহকর্মিনী এলেন দুখিরামের কাছে। তাঁর মোবাইল হারিয়েছে। নতুন সিম কার্ডের জন্যে থানায় যাওয়া দরকার একটি আবেদন পত্র জমা করার জন্যে।
= “স্যার একটু সঙ্গে যাবেন?”
এড়ানো যেত। কিন্তু তিনি বয়োজ্যেষ্ঠা, ভাল মানুষ, সর্বোপরি ছত্রিশ ঘায়ের ভয়ে ভীত । তাছাড়া দুখিরাম তো ন্যাড়া। চলল বেলতলায়। দ্বার রক্ষী জানালো, ওই ঘরে আছেন মেজ বাবু, তিনিই নেবেন ডায়রি। বড় ঘরে ঢুকে এদিক ওদিকে দেখছে দুখিরাম, তার পিছনেই আরো থতমত কাজসই দিদি, হঠাৎ ভারি মোলায়েম করে কে যেন সংবাদ নিল –
= “আরে দাদা এসে গেছেন, আসুন আসুন, আপনারই অপেক্ষায় ছিলাম।”
বিমা-কর্মী হলে দরকারে অদরকারে হাত বাড়ালেই বন্ধু পাওয়া যায়। তেমন কেউ নাকি?
হাজতের একটি ক্ষুদ্র প্রতিরূপ থাকে প্রায় প্রত্যেকটি থানাতেই। সেখানে গরাদের ওপারে মেজেতে বসা তিন জনের একজনের ভারি হাসি মুখ।
= “ভেতরে আসুন, তাসুড়ে একজন কম পড়েছে।”
ছাপার অযোগ্য শব্দাবলী সহ ছুটে এলেন মেজ-বাবু, দুখিরামের পিছনে চুনি লাল দিদিকে দেখে আবার বিদ্যুৎ গতিতে চেয়ারে ফিরলেন। দুখিরাম দিদিকে ইঙ্গিতে বাইরে থাকতে বলে আবেদনপত্র মেজ-বাবুকে নিবেদনে গেল। মেজ-বাবু রুমালে ঘাম ও লজ্জা মুছতে মুছতে বললেন –
= আরে এ’সব সামান্য কাজে কেউ থানায় ভদ্রমহিলাকে নিয়ে আসে। দিন দিন, স্ট্যাম্প দিয়ে দিচ্ছি। কিছু মনে করবেন না। এই হারাম… মানে এগুলোর সঙ্গে থেকে থেকে ………কি বলছিল যেন আপনাকে ? চেনেন নাকি ।”
দুখিরাম মাথা নেড়ে দিদিসহ “ভোঁ ভাঁ”।

শেষের গল্পটি – সে-ও আরেক ধরণ, আদালত ও একটি বালিকা।

দেওয়ানি বা ফৌজদারি নয় অন্য রকম আদালত। কেন্দ্রীয় অন্বেষণ ব্যুরোর। দুখিরাম দপ্তরের একটি মামলায় সাক্ষী হিসেবে হাজির। তাকে দেখেই আদালতের বড়বাবু হাসি মুখে বিকশিত হলেন-
= “জালিয়াত তো? ওই যে সেল ওখানে।”
আদালতেও একটি বৃহদাকার খাঁচা থাকে, অভিযুক্ত দাঁড়ায় দেখানে। সেখানে জনা পাঁচেক লুঙ্গি/ পাজামাধারী গরাদ ধরে দাঁড়িয়ে। বাইরে তিন জন মহিলা, বিরতি সহ ক্রন্দসী। সেই দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ।
অনেক জ্বালায় জ্বলেছে দুখিরাম। তাই বলে জালিয়াত তকমা! যৎসামান্য মিথ্যাচার – সে করে। তেমন তো সবাই করে। এমন কি যুধিষ্ঠির – তিনিও তো অল্প করে ………।
= “সে কি ? শমনে তেমন কিছু লেখা তো নেই?”
= “নোট জালের জন্যে এসেছেন তো?”
= “কি বলছেন স্যার? আমার ওই জীবন বিমা সংক্রান্ত মামলা নং……”
= “ও ঘুষ খাওয়া। হে হে।
= “আজ্ঞে আমি নিইনি।”
= জানি তো, আপনার গ্রাহক নিয়েছে। আপনি সাক্ষী। ওটা দু’ নম্বরে উঠবে। আপনার মুখটা যা হয়ে ছিল না – এ হে হে হে হে।”
= “হে হে হে আমি এজলাসে গিয়ে বসি? প্রথম কেসটা দেখি না হয়।”
হাস্যমুখ মাথা নাড়ে। দুখিরাম নিজের লাশ টেনে এজলাসে প্রবেশ করে।

অবাক কথা, একটি বছর দশেকের বালিকা একদিকের খালি বেঞ্চিতে বসে সাত গুটি খেলছে। আদালত ঠিক খেলার জায়গা নয়, বালক বালিকাদের জন্যেও নয়। বিবাহ বিচ্ছেদের যুক্তি মজবুত করার জন্যে মাঝে মধ্যে তাদের দেওয়ানি ধর্মাধিকরণে ডাক পড়ে বটে। (কাট টু ফ্ল্যাশ ব্যাক) দুখিরাম তেমন একটি মামলার ও সাক্ষী ছিল। বালককে উদগ্রীব মা-বাবার সামনে ছোট্ট করে জানতে চাওয়া হচ্ছে সে মায়ের সঙ্গে থাকবে না কি বাবার সঙ্গে। কি সরল প্রশ্ন – কিন্তু গরল ভরা। বালকটি শুধু কাঁদে, জবাব দেয়না। (কাট টু বর্তমান) কিন্তু জালিয়াতি বা ঘুষখোরি মামলায় বালিকা? ধর্মাবতার আসীন হয়েই ডাক দিলেন বালিকাটিকে। সস্নেহে জানতে চাইলেন হাল হকিকত। জামা কাপড় পাচ্ছে কিনা, পড়াশোনা চলছে কি না, অন্য কোনো অসুবিধে আছে কিনা সং-শোধনাগারে – সবই জানলেন এক এক করে। তার পর তাকে বসতে বলে মন দিলেন মামলায়। দুখিরাম জানলো বালিকার জীবন কাহিনী।


বছর দশেক আগে জাল নোট সহ ধরা পড়ে অভিযুক্তরা। তাদের একজন – হবু মা -। শিশুটি সূর্যের প্রথম আলো দেখল লাল প্রাচীরের আড়াল থেকে। তারপর থেকে সবাই কারান্তরালে। মোকদ্দমা চলছে। বালিকার জন্ম সেখানে, বেড়ে ওঠা এ’ যাবৎ সেখানেই, সরকারী প্রযত্নে। আজ আবার সেখানেই ফেরত যাবে। বাইরের পৃথিবী সে শুধু দেখতে পায় মামলার দিনগুলিতেই। লৌহকপাটের পিছনে রয়েছে জন্ম ইস্তক – বিনা দোষে। সমাজসেবী এক দিদিমণি তাকে পড়িয়ে যান – বাইরের লোক বলতে শুধু তাকেই চেনে বালিকাটি। জানে না – তাই বাইরের পৃথিবী সম্বন্ধে তার আগ্রহ কিছু নেই। হ্যাঁ,বোকা-বাক্স কালে ভদ্রে দেখতে পেলেও – মোবাইল নামক ভগবানের পরিচয় সে পায়নি। তবু আছে। – এ ভাবেও থাকা যায়।

এই লেখাটি না লিখলেও চলত। বিষয়টি মনে হল কারণ – সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং সর্বোচ্চ আদালতের মুখ্য বিচারপতি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একটি বিষয়ে। গত বছর পর্যন্ত বিভিন্ন কারাগারে প্রমাণিত অপরাধী সাজা কাটছেন ১,২২,৮৫২ জন কিন্তু বিচারাধীন রয়েছেন ৪,২৭,১৬৫, অর্থাৎ মোট কারাবাসীর প্রায় সত্তর শতাংশ ( সূত্র Prison Statistics India 2021 – National Crime Records Bureau )। এটি বেদনাদায়ক। অপরাধীর দণ্ডবিধান বিধেয়। তা নইলে সামাজিক ও ব্যাবহারিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। কিন্তু তা প্রমাণসাপেক্ষ। ভারতীয় মানবাধিকার বলে Rights to the accused are given on the lines of – ‘Let hundreds go unpunished, but never punish an innocent person’ (Right to Equality (Article 14).) হয়ত এই সতর্কতার কারণেই ভারত বর্ষে প্রায় ৫ কোটি মামলা বিচারাধীন ( তথ্যসূত্রঃ উইকিপিডিয়া এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত)। তবু পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রের দুই সুউচ্চ চূড়া চাইছেন আর একটু গতি আনা যাক বিচার ব্যবস্থায়। কেউ চায় না নিরপরাধীর কারাবাস। সে জীবন প্রতি মুহূর্তের মৃত্যু গাথা। মানুষ বড় কাঁদছে ।

Facebook Comments Box

আপনি এই পত্রিকা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।

নতুন লেখা বা ভিডিও সংযোজন, অথবা রবিচক্রের অন্যান্য খবরাখবর সম্পর্কে জানতে, ইমেল নথিভুক্ত করতে পারেন।

We don’t spam! Read our privacy policy for more information.