শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আলোচনা ও চর্চা

নীলপাহাড়ের পাঁচালি

Shibanshu Dey

জন্মভূমিকে ‘রানি’ সবারই মনে হয়। তবে ভারতবর্ষকে হয়তো সকল দেশের ‘রানি’ ভেবে নেওয়ার সঙ্গত কারণ রয়েছে। শুধু সঙ্গত নয়, তারা সহজ ও স্বতঃসিদ্ধ। খুঁজতে গেলে দশদিগন্তই মানচিত্রের মধ্যে চলে আসবে। যেমন ধরা যায় ভারতীয় উপদ্বীপের পূর্বঘাট আর পশ্চিমঘাট পর্বতমালা । সেগুলির সৌন্দর্য এককথায় ‘স্বর্গরাজ্য’-এর মতোই। অবশ্য স্বর্গ আর কেই বা দেখেছে? পূর্বে বঙ্গোপসাগর আর পশ্চিমে আরব সাগরের টানা প্রান্ত জুড়ে দাঁড়িয়ে আছে সবুজে সবুজ এই দুই পার্বত্য প্রদেশ। এই সব পাহাড় হিমালয় নয়। তাদের হিম-মুকুট পরে থাকার বৈভব নেই। কিন্তু সৌন্দর্য মাপতে গেলে তারা পিছিয়ে থাকে না। পশ্চিমঘাটের পর্বতমালার নাম ‘সহ্যাদ্রি’। তার ব্যাপ্তি ষোলো শো কিমি জুড়ে। গুজরাট থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণে মহারাষ্ট্র, গোয়া, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, কেরালা পর্যন্ত তার রাজপাট। উচ্চতার নিরিখেও বিশেষ ন্যূন নয়। মাপতে গেলে কেরলের আনামুড়ি শৃঙ্গও প্রায় সাতাশ শো মিটার উঁচু।


পশ্চিম ঘাটের দক্ষিণ অংশ নীলগিরি পাহাড়ের যাত্রা শুরু হয় সেই উত্তর-পশ্চিম তামিলদেশ থেকে। এগিয়ে যায় দক্ষিণ কর্ণাটক আর পূর্ব কেরালা পেরিয়ে। গোটা যাত্রাপথ জোড়া নীল পাহাড় আর সবুজ অরণ্য। পূর্ব ঘাটের পর্বতশ্রেণিও আমার খুবই প্রিয়। কিন্তু পশ্চিম ঘাট সম্বন্ধে বলতে গেলে গালিব-কে স্মরণ করতে হয়। যথা, ‘কহতে হ্যাঁয় গালিব কা অন্দাজে-এ-বয়াঁ অওর’। পশ্চিম ঘাটে নীলগিরি পাহাড়ের ‘অন্দাজ-এ-বয়াঁ’ সত্যিই অন্যরকম। তামিলদেশের উধাগামণ্ডলম থেকে কেরালার মুন্নার, নীলগিরি এক মায়াবী কন্যা। ‘আহা, তার আঁখির তারায় যেন গান গায় অরণ্য-পর্বত।’


নীলগিরির কোথাও একটা জায়গা আছে। নাম ‘কোদাগু’। খুব অপরিচিত লাগছে, না? সাহেবরা কোদাগু-র নাম দিয়েছিলো ‘কুর্গ’। ‘মাদিকেরি’ তার ‘রাজধানী’। তার সাহেবদের দেওয়া নাম ‘মার্কারা’ । এবার চেনা গেলো। মাদিকেরি একটা মাদকতাময় চারদিকে কফিবাগান ঘেরা পাহাড়ি জনপদ। তার কাছে একটা গ্রামের নাম বিলিগেরি। তালুক, মাদিকেরি, জিলা কোদাগু। সেখানে লোকে কথা বলেন কোদাভা আর টুলু ভাষায়। কুর্গের উত্তর প্রান্ত সোমওয়ারপেট আর দক্ষিণে বিরাজপেট-এর ঠিক মাঝখানে পাহাড়ি গ্রাম বিলিগেরি।

মাদিকেরি-র দশ-এগারো কিমি দক্ষিণে পাহাড়ি পথ বেয়ে যেতে হয়। গাড়িতে আধ ঘন্টা খানেক লাগে। যাঁদের বন-পাহাড়ের নেশা আছে, তাঁদের জন্য এক প্রিয় জায়গা।
শুধু অনন্য প্রকৃতি নয়, মানুষের ইতিহাসেও ‘কোদাভা’ সংস্কৃতি অন্যান্য কন্নড় পরম্পরা থেকে একেবারে আলাদা। সাক্ষ্য আছে কোদাভা জাতি অত্যন্ত স্বাধীনচেতা। মাইসোরের রাজশক্তিকে চিরকাল চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এসেছে। এই ছোট্টো পার্বত্য, অরণ্য প্রদেশটির মানুষের বীরত্বের গল্প সবার মুখে। স্বাধীন ভারতের প্রথম সেনাধ্যক্ষ জেনারেল কারিয়াপ্পা ছিলেন একজন কোদাভা। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কোদাভাদের প্রতাপ সবাই জানেন।
মেধাবী প্রকৃতি আর তার উচ্ছল আত্মা, ঈশ্বরের এই বাসভূমে জড়াজড়ি করে থাকে। ঘন সবুজ জঙ্গলে ভোরবেলা পপলার, সাইপ্রেসের পাতায় জমে থাকা পেলব শিশির বিন্দু।

মাঝেমাঝেই সমতল ভূমির ঢালে কর্ষিত কফিবাগান। শব্দ বলতে শুধু পাখির ডাক। হয়তো বা দূরে কোনও করাতকল থেকে ভেসে আসা যন্ত্রের ক্ষোভ শীতল হাওয়ায় আসা যাওয়া করে যায়। সোনা গলানো আলো ছড়িয়ে কমলা সূর্য বাড়ি ফেরে সবুজ পাহাড় শৃঙ্গের আড়ালে। কটেজের বারান্দা থেকে কফি চুমুক দিতে দিতে তাকে টা-টা করা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই। অবশ্য মাদিকেরিতে কিছু ‘নেই’ বলে দেওয়া একেবারেই সমীচীন নয়। হাজার হাজার পর্যটক আসেন এখানে। কোদাগুর ‘রাজধানী’ মাদিকেরি পর্যটকদের একটা মায়াকানন। বেঙ্গালুরু থেকে আড়াই-পৌনে তিনশো কিমি। মাদিকেরি তালুকে প্রকৃতির নয়নাভিরাম সৌন্দর্যের অভাব নেই। যেদিকে তাকাই, চারদিকেই।


‘পর্যটক’দের দেখার জন্য ‘আকর্ষণ’-এর অভাব নেই। যেমন ধরুন, ‘রাজার আসন’। একটা সাজানো বাগান। সেখানে প্রায় ঝুলন্ত একটা বাঁধানো চাতাল থেকে দেখা যায় খাদের পাড় থেকে আদিগন্ত ছড়িয়ে থাকা সবুজ-গেরুয়া খেত-খামার, বন্ধ্যা টাঁড় আর তেমন কুলীন নয়, তেমন উচ্চতার নানান পাহাড় শ্রেণি। রয়েছে দুটো চমৎকার জলপ্রপাত। ‘অ্যাবি’ আর ‘কোটে আবে’। ‘মাতঙ্গিনী’ প্রলয় খ্যাপা ধরনের প্রতাপ নেই তাদের। শ্যামলী বাঙালি মেয়েদের মতো। শান্ত থাকলে যারা নিবিড়, নিরুচ্চার।

নিবেদিত শান্তিকল্যাণ হেন। অনেকটা সময় হয়তো কাটিয়ে দেওয়া যায় তাদের সজল সান্নিধ্যে। একটি প্রশস্ত শিব মন্দির। ওঙ্কারেশ্বর। দাক্ষিণাত্যের নিয়ম বাঁধা আয়ত জলাশয়ের আঙিনায়। কোদাগু স্থাপত্যের ঐতিহ্যবাহী। ইতিহাস খুঁজতে গেলে যাওয়া যায় ‘রাজার সমাধি’। একটু দূরেই লামাযানী বৌদ্ধ উপাসনাস্থল , বুদ্ধের স্বর্ণমন্দির। সঙ্গে নামদ্রোলিং বিহার। শহরের মাঝখানে একটা উঁচু জায়গায় মাদিকেরি দুর্গের অবশেষ। রাজার ‘প্রাসাদ’। পাশেই একটি প্রাচীন গথিক গির্জাকে বদলে দেওয়া হয়েছে সরকারি জাদুঘরে।


বিলিগেরি গ্রামটি মাদিকেরি দুর্গ থেকে মাত্র সাত-আট কিমি দূরে। বিরাজপেটের কাছেই। পাহাড়ি, বুনো জায়গা। নিজের গাড়িতেও পৌঁছোতে মাদিকেরি থেকে চল্লিশ-পঁয়তাল্লিশ মিনিট লেগে যায়। পাহাড় চিরে এঁকেবেঁকে রাস্তা গেছে। বেশিটাই লালমাটি। পিচরাস্তার গর্ব প্রায়ই ধুয়ে যায় হঠাৎ বন্যায়। বিলিগেরির গর্ব হলো, পাহাড় বেয়ে কফিবাগানের আদিগন্ত সবুজ। ছিলুম এরকম একটি কফিবাগান সংলগ্ন সবুজ জমিদারিতে। চমৎকার একটা লাল ঢালু ছাদের বনবাংলা। চারিদিকে বৃক্ষের বিস্তৃত হরিৎদাব। পাহাড়ের গায়ে সযত্ন কর্ষিত কফি বাগান। এদেশে কফি মানেই তো কোদাগুর কফি। এই অতিথশালাটিও কফি এস্টেটেরই অঙ্গ। গ্রাম, মানে গ্রামই। বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। জেনারেটর ভরসা। প্রাতরাশ পাওয়া যায়। কিন্তু বছরের অধিকাংশ ঋতুতেই ভোজন করতে মাদিকেরি যেতে হবে। বৃষ্টির দিনে বিলিগেরি যাওয়া যাবে না তিন-চার মাস। পাহাড়ের আড়ালে সূর্য মুখ লুকালেই নিস্তব্ধ পুরী। নীরবতার শব্দ শুনতে চাইলে স্বাগত। শুধু বন ফায়ারের কাঠ পুড়ে যাবার মৃদু শব্দ। ঘোর কালো আকাশে মিলিয়ে যাওয়া শাদা ধোঁয়ার সিঁড়ি। আঁকাবাঁকা লালমাটির পথ ওঠে নামে। এদিক ওদিক জল ঝরনার দল ভিজিয়ে দিয়ে যায়। কমলা বাগান আর এলাচ বীথির ফাঁকে ফাঁকে বোনা আছে সার সার কফিগুল্মের ঝোপঝাড়। নাম না জানা পাখিদের ডাকাডাকি, পাতার আড়াল থেকে গড়িয়ে আসা রোদ, যখন তখন ঝিরঝিরে বৃষ্টি, কতো রকমের উদ্ভিদ গন্ধের অলস বিলাসিতা।


সাহেবরা বলে , “The most beautiful places are at the end of really bad roads”। বিলিগেরির ক্ষেত্রেও কথাটি সত্যি। মানুষের চেষ্টার অভাব নেই। মাদিকেরির চারপাশে প্রতি বর্ষায় বন্যায়, বর্ষণে রাস্তাঘাট ধুয়ে চলে যায়। বৃষ্টি রাস্তা ধুয়ে দেয় বটে, কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতিকেও ধুয়ে দেয় সবুজের আশীর্বাদে। ‘চোখজুড়োনো’ বলতে যা বুঝি আমরা, ঠিক তাই। সিসু, চাঁপা, সেগুন, মেহগনি, ক্যানারিয়াম (কালো ধূপ), চন্দন, ক্যালোফাইলাম, আকাশ ছোঁয়া বৃক্ষের অরণ্য। তার সঙ্গে লবঙ্গ, সুপুরি, কলা, আখ, বাঁশ আর গোলমরিচের ছড়িয়ে থাকা বাগান। হাজার রকমের ফার্ন, অর্কিড, অরাম লিলির রাজত্ব।

মাঝে মাঝে গ্রামগুলি। লালটালির ঢালু চওড়া ছাদ দেওয়া মাটির বাড়ি। নানা রকম গাছ দিয়ে ঘেরা। লালজবা আর ক্রোটোন। লোকজন বিশেষ চোখেই পড়েনা। এদিক ওদিক বয়ে যাওয়া জলধারা। তার উপর কালভার্ট। আর লাল রাস্তাগুলি। ভোরবেলা হাঁটতে বেরোলে সবুজ ঋজু বৃক্ষের আড়াল থেকে চমকে ওঠা হলুদ রোদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায়। উঁচুনিচু লালমাটির রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে দূরে টানা শষ্যখেত, বাঁশ বাগান দিয়ে ঘেরা। নীল দিগন্তে সবুজ পাহাড়ের অশেষ প্রাচীর। আর অঢেল অক্সিজেনময় আবহ। ভোর তো এরকমই হয়। এই প্রকৃতি বাংলা বা কেরালার গ্রাম নয়। নয় ডুয়ার্সের অরণ্যপাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে থাকা মানুষের বসতি। শৈলশহর তো নয়ই। কিন্তু বিলিগেরির অভ্যাগতরা বিনা দ্বিধায় বলতে পারেন, ‘আমার নয়ন ভুলানো এলে, আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে … ‘


কর্ণাটকের নীলগিরি রেঞ্জে মাদিকেরির জুড়ি পেয়েছিলুম আরেকটি জায়গায়। শ’দেড়েক কিমি উত্তরে। মাদিকেরির মতো এও এক ‘কফিতীর্থ’। নাম, ‘চিকমগলুর’। ‘চিকমগলুর’ শব্দটির উৎস কন্নড় ভাষায় ‘চিক্কমগলা উরু’ নাম। এর অর্থ ‘কনিষ্ঠ কন্যার জনপদ’। সক্করায়পত্তনের প্রবাদিত প্রধান রুকমঙ্গদা তাঁর কনিষ্ঠা কন্যাকে যৌতুক দিয়েছিলেন এই গ্রাম। প্রথমে সুফি সাধক, পরে ইংরেজদের প্রযত্নে এই জায়গাটা ক্রমে কফি সংস্কৃতির কেন্দ্র হয়ে দাঁড়ায়।
নামটা আমরা প্রথম শুনি ইন্দিরা গান্ধির দৌলতে। তিনি একবার রায়বরেলির মায়া কাটিয়ে চিকমগলুর থেকে ভোট লড়েছিলেন। হতাশ হননি। একবার বেলুরু, হালেবিদু দেখে ফিরছিলুম বেঙ্গালুরু। যাওয়ার ছিলো হাসান। হঠাৎ একটা বাস এলো। যাবে অন্যদিকে চিকমগলুর। এতো কাছে এসে ছাড়া যায়না। চড়ে গেলুম। আধ ঘন্টার মধ্যেই চিকমগলুর, সবুজের স্বর্গ।


চিকমগলুর নামে ছোট্টো শহরটিকে ঠিক শৈল শহর বলা যাবেনা। কিন্তু নয়ন জুড়োনো ভূপ্রকৃতি এখানে। এর অর্থনীতির ভিত্তি কফিচাষ। শহর-গ্রামে প্রায় পনেরো হাজার মানুষ জড়িয়ে আছেন কফিশিল্পে। উঁচু-নিচু পাহাড়ি রাস্তা ঘাট। আকাশ ছোঁয়া সরলরৈখিক বৃক্ষরাজির ছায়ার ফাঁকে ফাঁকে কফিগুল্মের কৃষি হয় এখানে। ভারতীয় কফির বৈশিষ্ট্য হলো এর চাষ হয় ছায়াঞ্চলে। এর স্বাদগন্ধ মৃদু, কোমল। যেদিকে চোখ যায়, শহরটি ঘেরা আছে পাহাড়ের ঢালে কফিবাগানের সারবাঁধা মিছিলে। মাঝে মাঝে ঢালু লাল ছাদের বাংলাবাড়ি। নির্মল অক্সিজেনে ভাসাভাসি শীতল হাওয়া। তার মধ্যে ভেসে আসে সেঁকা কফিবীজের মাদক সুগন্ধ। শহুরে মানুষের ক্লান্ত শরীর জেগে ওঠে প্রকৃতির আলিঙ্গনে। ভেবে গিয়েছিলুম, কিছুক্ষণ ঘুরে ফিরে চিকমগলুরের মায়া কাটাবো। কিন্তু থেকে গেলুম দু’দিন।
চিমগলুরের পাহাড় শ্রেণির মতো স্নিগ্ধ পর্বতমালা বিশেষ দেখিনি। সুফি সন্ত বাবা বুদানের পাহাড়, যেখানে বারো বছর অন্তর নীল কুরিঞ্জি ফুল ফোটে, তাকে ঘিরেই চিকমগলুর। বাবা বুদানই এদেশে প্রথম কফির বীজ এনে রোপন করেছিলেন। পাহাড়ের সব থেকে উঁচু শিখরটির নাম মুল্লায়নগিরি। ভদ্রা নদী, তার অভয়ারণ্য, হেব্বে, ঝরি আর কলহট্টি প্রপাত, কুদ্রেমুখ জাতীয় উদ্যান, হিরেকোলালে হ্রদ। মাইলের পর মাইল কফিবাগান তো ছেড়েই দিই। সব মিলিয়ে প্রকৃতির জাদুঘর। ট্রেকারদের স্বর্গরাজ্য।
সবার চোখেই এসব ছবি ধরা দেয়। কিন্তু মনে? মনে ধরা দেয় কি? নাও দিতে পারে। কিছুই অসম্ভব নয়। এক কবি যেমন বলেছিলেন কোনও এক দিন,
‘… লবটুলিয়া ঘুরে এলেন কলকাতার শেরিফ
হাসতে হাসতে বলছিলেন – এমন কিছু নয়।’
(ট্রেনে লেখা কবিতা- উৎপল কুমার বসু)

Facebook Comments Box

আপনি এই পত্রিকা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।

নতুন লেখা বা ভিডিও সংযোজন, অথবা রবিচক্রের অন্যান্য খবরাখবর সম্পর্কে জানতে, ইমেল নথিভুক্ত করতে পারেন।

We don’t spam! Read our privacy policy for more information.


0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
তন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়
20 days ago

আপনার সুখপাঠ্য ভ্রমণ-সাহিত্য পাঠের বাড়তি পাওনা আপনার নিজের হাতে তোলা ছবির সম্ভার, যা মুগ্ধতা আনে।

1
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x