Category: প্রচ্ছদ নিবন্ধ
- পেয়েছি ডাক, চলেছি আমি তাইNew
ছুটির দরখাস্ত তো অনেক আগেই দাখিল করেছেন রবীন্দ্রনাথ। কিন্তু ২২ শ্রাবণ ১৩৪৭-এ বসে আর ঠিক একটা বছর পরে ওই দিনটিতেই তাঁর ছুটি মঞ্জুর হবে কেই বা জানত! কেই বা সেদিন ভেবেছিল, কুহেলিকা উদ্ঘাটন করে সূর্যের মতো নূতনের আর প্রকাশ ঘটাতে আসবে আর একটাই মাত্র ২৫ বৈশাখ। ছুটিটা তো তাঁর মিলেইছিল, কিন্তু তাঁর আগে কড়ায়-গণ্ডায় পাওনাটা…
- পরানের সাথে খেলিব আজিকে-১New
মৃত্যুরাখালের গর্বের শেষ নেই। যে জীবন নিয়ে মানুষের এতো অহমিকা, স্বজন-পরিজন সংসারের তৃপ্ত আবহ, অর্থ-কীর্তি-সচ্ছলতার উত্তুঙ্গ মিনার, তা’কে এক ফুঁয়ে সে ধূলিসাৎ করে দিতে পারে। তার সামনে নত হয়ে থাকে রাজার রাজা, ভিখারির ভিখারি, সম্মান-অসম্মানের ভিতে গড়া অনন্ত নক্ষত্রবীথি, পাবকের পবিত্র অগ্নি থেকে মৃত্যুরাখাল কাউকে রেহাই দেয়না। সে তো ভাবতেই পারেনা একটা রক্তমাংসের মানুষ সদানন্দ…
- হেমন্ত মুখোপাধ্যায় – অতিক্রান্ত শতবর্ষের অনুভব (পর্ব – ২) New
“…একদিন হেমন্তদা আমাকে একটা লাল ডায়েরি দিয়ে বললেন, এই নাও আমার মায়ের ডায়েরি। পড়ে দেখ, অনেক কিছু জানতে পারবে। ডায়েরিটা বাড়ি নিয়ে এসে পুরোটা পড়ে ফেললাম। সবচেয়ে আশ্চর্য হল, একটা জায়গায় উনি লিখেছেন যে, সেদিন উনি একটা রেকর্ডের দোকানে পাশাপাশি পঙ্কজ মল্লিক আর শচীনদেব বর্মণের ছবি দেখেছেন। সেখানে লিখেছেন, একদিন এঁদের পাশে আমার হেমন্তর ছবিও…
- হেমন্ত মুখোপাধ্যায় – অতিক্রান্ত শতবর্ষের অনুভব (পর্ব – ১)New
“পাখিরে দিয়েছ গান, গায় সেই গান, তার বেশি করে না সে দান। আমারে দিয়েছ স্বর, আমি তার বেশি করি দান, আমি গাই গান।” সালটা মনে আছে – ১৯৫৮। বাবা একটা রেডিও কিনলেন – আমাদের সংসারের প্রথম অলঙ্কার! সঙ্গে নিয়মিত আসতে লাগলো ‘বেতার জগৎ’। বাবা দাগ দিয়ে রাখতেন – কবে কোন শিল্পীর কী গান। বাড়িতে নিয়ম…
- ‘রাজা’ ও ‘রক্তকরবী’ – আলোকাভিসারী মানুষের মুক্তির অভিন্ন তপস্যাNew
সত্য সরল। তবুও সত্য জটিল। সত্য জটিল কারণ তা বিরোধ এবং আপাত বৈপরীত্যের সমন্বয়। প্রায়ই সত্যের সমন্বিত সত্তাটির বদলে অসম্পূর্ণ বোধ আর চেষ্টিত নির্মাণের বিমূঢ় অভিপ্রায়ে সত্যের অনায়াস ও সম্পূর্ণ রূপের বদলে আমাদের চেতনায় যা ধরা পড়ে, তা হলো সত্যের খন্ডিতরূপ। সমস্যা সৃষ্টি হয় তখন, যখন মানুষ এই খন্ডিত সত্যের আধারে ধরতে চায় সম্পূর্ণ জগতকে।…
- রেখেছ বাঙালি করেNew
মৃতপ্রায় বাঙালির প্রাণের প্রদীপটা এখনও টিমটিম করে জ্বলছে বটে। যেটুকু জ্বলছে, তা কিন্তু জ্বালিয়ে রেখেছেন তিনি, মুখ্যত তিনিই! তাঁর সেই উদ্বেগের ১৪০০ সালটা পেরিয়ে গেছে অনেক দিন হল। দক্ষিণের বারান্দায় বসে কোনো কল্পনার অবগাহনে তাঁর পাঠানো অনুরাগে সিক্ত কবিতা তো সেই ‘তুমি’র এখন পড়ার কথা। কিন্তু হয়তো আজকের বাঙালি-হৃদয়ের রক্তক্ষরণের এমন পরিস্থিতি তাঁর ভাবনাতে ঠাঁই…