শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আলোচনা ও চর্চা

এবারেও হল না

সংসারে যে কিছুতেই থাকবেন না, এই প্রপঞ্চময় মায়া পেরিয়ে যে কোন দিনই বেরিয়ে পড়বেন জগন্মাতার খোঁজে – সে কথা কার্তবীর্যার্জুন কয়ালের শৈশবেই জানা গিয়েছিল। তিনি তখন নিতান্ত হামাগুড়ি দেওয়া শিখছেন। এক সকালে – পারিবারিক গুরুদেব – শ্রী শ্রী একশ আট লুচি বাবা – কয়াল বাড়ির লাল চকচকে মেঝেতে বহু আঁকি বুঁকি কেটে আর তার নাভি পর্যন্ত গিঁট মারা দাড়ি দিয়ে মুছে শিবনেত্র হয়ে গেলেন। ঘন্টাখানেক পরে ধ্যান ভাঙ্গলে আধসের খাঁটি ও গরম দুধের গ্লাসে সুড়ুৎ সুড়ুৎ চুমুক দিয়ে ঘোষণা করলেন –

‘বাবা বিঘ্ন বিনাশন এ যে লগন চাঁদা ছেলে । কোন রকমে মায়ার সংসারে টিঁকে আছে। যে কোন দিন সংসার বন্ধন ছিঁড়ে পালাবে। বাঁধো, বাঁধো, বেঁধে রাখো। ভালো কথা, দুধ কি রাঙ্গি গাইটির? ওকে আড়াইশ গ্রাম গোলাপ পাঁপড়ি খাইয়ো রোজ ‘।

বিঘ্ন বিনাশন কয়াল ডামর-ডিহি গ্রামের জমিদার, এ সংসারের কর্তা এবং কার্তবীর্যার্জুনের বাবা। তিনি কাটা কলাগাছের মত পড়ে গিয়ে লুচি বাবার পায়ে মাথা ঠুকতে লাগলেন । লুচি-বাবা ‘বাপ রে’ বলে ছিটকে গেলেন । তার হাত থেকে বিন্ধ্যবাসিনী – অর্থাৎ বিঘ্ন বিনাশনের মা ওরফে কর্তা মায়ের – মাথায় গরম দুধ ছলকে গেল আর তিনি চরণামৃত ভ্রমে ভক্তিভরে মাথায় মুছলেন সেটা। হতবুদ্ধি বিঘ্ন বিনাশন বললেন –

‘কি হল বাবা? চরণ সেবার সুযোগ দিলেন না’? লুচি বাবা তখন সদ্য জন্মানো বাছুরের মত তিড়িং বিড়িং লাফাচ্ছেন। দাঁত খিঁচিয়ে বললেন-

‘ আরে রে রে উচ্চিটিঙ্গ শাবক, পদ সেবা করার নামে পায়ের কড়ায় মাথা ঠুকে দিলি। বাপ রে মা রে’।

গোলমালে আসল ব্যাপার ধামা চাপা পড়ে যাচ্ছে দেখে বিন্ধ্যবাসিনী দেবী সাশ্রু নয়নে হাত জোড় করে বললেন –

‘বাবা, ও সে দিনের ছেলে। না বুঝে কি করে ফেলেছে। মাপ করে দিন। ওকে মাপ করে দিন। আজ আপনার ভোগে একশ আটটি লুচি দেবো। সঙ্গে দু’সের দুধের রাবড়ি’। খাওয়ার কথায় বিশেষত রাবড়ির ব্যাপারে – বরাবরই লুচি বাবা একটু আর্দ্র হয়ে পড়েন। নাচ থামিয়ে একবার ছেচল্লিশ বছরের ‘বালক’ বিঘ্ন বিনাশনকে দেখলেন । তারপর হরিণ চামড়া বিছানো ডেক চেয়ারে পদ্মাসনে বসে বললেন –

‘না মা বিন্ধ্যবাসিনী। অত কি আর সেবা নিতে পারি । বয়স পঁয়ষট্টি পেরল। তুমি যেমন দাও তেমন খান পঞ্চাশেক লুচি দিলেই হবে’।

বিন্ধ্যবাসিনী দেবী এবার মোদ্দা কথায় এলেন।

‘তা হলে বাবা। আমার কাতুর কি হবে’?

‘আর একবার ভালো করে দেখতে হবে মা। শনি বক্রী আর রাহু নিচস্থ জাতকের । বড় কোরে যজ্ঞ করতে হবে। দান সামগ্রীতে কার্পণ্য করলে হবে না। পরশু বোধহয় একটা অমৃত যোগ আছে। আপাতত কাটান দেওয়া যাবে তবে নিয়মিত লক্ষ্য রাখতে হবে আর যাগযজ্ঞ। ভরসা রাখো মা। আমি তো আছি’।

তা থাকলেন লুচি-বাবা । প্রায় মাস খানেক। যজ্ঞ হল, দান হল, হরির লুঠও চালিয়ে দিলেন বিন্ধ্যবাসিনী দেবী। ফরমান দিলেন কোন রকম চাপ তার সাধের কাতুকে দেওয়া যাবে না। যদি বাছা বাড়ির বাইরে যায়, মানে যেতেই হয় কোন কারণে – ভৈরব লেঠেল যাবে সঙ্গে। বাড়ির পাঁচিল উঁচু করে দেওয়া হল যাতে টপকানো না যায়। অন্দর বাহির কিম্বা বাহির অন্দর – কিছুই না। মোধো ঘোষ পুরুষানুক্রমে কয়াল বংশের গয়লা, তারও প্রবেশ নিষেধ হল অন্দর মহলে। বাড়ির দাসী ওরফে মুখপাত্র রাধি বারবাড়িতে এসে প্রতিদিন দোওয়ানো দুধ নিয়ে যায়। গ্রামে ফেরিওয়ালা ঢোকার উপরেও ট্যাক্সো লাগলো । আগে নাম ছিল কার্তিক। গুরুদেবের পরামর্শে নাম হল কার্তবীর্যার্জুন। লুচি বাবা দু জামবাটি পিঠে পুলি সাবড়াতে সাবড়াতে বললেন –

‘নামটার ভার বাড়িয়ে দিলাম। রামায়ণ মহাভারত থেকে নেওয়াই যেত কিন্তু আর একটু পিছনে বিষ্ণু পুরাণ ঘাঁটলাম। এর কাছে রাবণ রাজাও পরাজিত হয়েছিল।এবার ঘর ছাড়া মুস্কিল হবে কিছুটা । আর হ্যাঁ, কালকের পায়েসে কাজু কিছু কম ছিল। আজ খেয়াল কোরো। কাজু বড় বলপ্রদায়িনী হে’। সবাই খুশি। নাম বটে এক খানা। বলতে গেলে জিভ চার বার তালুতে ধাক্কা খায়। শুধু বিন্ধ্যবাসিনী আর রাধিকে ছাড় দেওয়া হল। বিন্ধ্যবাসিনীর সাকুল্যে দশটা দাঁত। এ নাম বললে দু চারটে আরো শহীদ হয়ে যাবে। আর রাধি পরিষ্কার জানিয়ে দিল এ নাম বলতে হলে ঝাঁটা মারে সে চাকরির মুয়ে। তার দরকার হল না। লুচি বাবার পৌরহিত্যে উচ্চ পর্যায়ের সালিশি সভার পর সে তার ‘কাতু’র সঙ্গেই রয়ে গেল। আরেক জন অবশ্য একটু সর্ত ভাঙ্গলেন। তিনি গন্ধেশ্বরী দেবী , বিঘ্ন বিনাশন বাবুর স্ত্রী । ছেলেকে সবার সামনে কার্তবীর্যার্জুন আর আড়ালে কেতো বাবা বলে চালিয়ে যেতে লাগলেন।

এ ভাবে পাঁচ বছর কাটানোর পর কার্তবীর্যার্জুনকে বাড়ির বাইরে যেতে হল। যদিও তার ক্ষুণ্ণি বৃত্তির জন্যে কাজ না করলেও হবে কিন্তু হাঁক ডাক করতে হলেও লেখা পড়া একটু তো শিখতে হবে। পাঠশালা গাঁয়েই । সেখানে দাখিল হলেন কার্তবীর্যার্জুন। দরজার বাইরে হুঁশিয়ার থাকল ভৈরব বাগদী। কার্তবীর্যার্জুন যে দিন ইচ্ছে হয় – অন্য সহপাঠীদের সঙ্গে শটকেতে গলা মেলান।না হলে তার দৃষ্টি ভেসে যায় বাইরের উড়ন্ত মেঘ আর ছুটন্ত গরুর পেছনে। পণ্ডিত মশাই প্রথমে কড়া হতে গিয়ে ছিলেন। তাল পাখার বাঁট উঁচিয়ে ছিলেন ঘুমন্ত কার্তবীর্যার্জুনের কানের গোড়ায়। কিন্তু ভৈরব ঠিক সময়ে হাত ও পাখা ধরে ফেলে বলেছিল –

‘ও কম্মোটি করবেন না পন্নি মশায়। ছোট হুজুরের ইচ্ছে হলি পড়বে অখন। নইলে থাক। মা ঠাকরুন বল্যে দেছেন। সিধে পাচ্ছেন, সিধেই থাকেন’।

পণ্ডিত মশাই আর ভুল করেননি।।কার্তবীর্যার্জুনের জীবন তরী বয়ে চলল তরতর করে।

এরপর প্রায় বছর কুড়ি পরে শান্ত নদীতে একটু জোর বাতাস বইল। ইতিমধ্যে লুচি বাবা সাধন-চিত ধামে সাকিন করেছেন।বছর বছর যজ্ঞ আর হয় না। জমিদারী প্রথার বিলোপ হয়েছে। বিঘ্ন বিনাশন বাবু আছেন তবে তার হাঁক ডাক বন্ধ। সারাদিন শুধু আল-বোলাটির সঙ্গে গুড় গুড় করে কথা বলেন। কার্তবীর্যার্জুনের বড় দাদা গোকুল চন্দ্র বি এ ফেল হলেও পাটোয়ারী বুদ্ধিতে পোক্ত। সরকারী খেসারত যা পাওয়া গিয়েছিল আর বাঁচা খোঁচা জমি পুকুর নিয়ে মাছের চাষ , আলুর হিমঘর সহ আর পাঁচটা ব্যবসা করে বংশের রুপোলী জোয়ার বজায় রেখেছেন। মা আর ঠাকুমার হাজার দিব্যি ছিল তাই এ সবের মধ্যে তিনি কার্তবীর্যার্জুনকে টানেন নি। তার বিষয় বুদ্ধিও তাকে আগাম সতর্ক করেছিল যে সজনে কাঠে পালঙ্ক হবে না। তাছাড়া তার বিয়ে থাওয়া ছেলে পুলে, হয়েছে ইতিমধ্যে। শতেক কাজ। সৌখিন দুঃখ নিয়ে মেতে থাকার সময় তার নেই। কাজেই কার্তবীর্যার্জুন আছেন – যেমনটা ছিলেন । খাচ্ছেন দাচ্ছেন, ভাবুক দৃষ্টি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

তো এরকমই এক শেষ দুপুরে ছাতে উঠে উদাস নয়নে তাকিয়ে ছিলেন দিকচক্রবালের দিকে। ঠিক কি কি দেখছিলেন – মাঠে খড়, পুকুরে কাতল মাছে ঘাই, না কি আকাশে কাদাখোঁচা পাখি জানা নেই – কিন্তু পিছন থেকে বিন্ধ্যবাসিনী দেবী তাকে দেখে কাঠ হয়ে গেলেন। সেই সময় তার সখের পাড়া আমসত্ত্ব কাকে ঠোকর দিচ্ছে কিনা দেখতে তিনি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে ছাদে উঠেছিলেন। কার্তবীর্যার্জুনকে এক দৃষ্টে কিছু দেখতে দেখে ডুকরে উঠলেন ‘ কাতু’ বলে। তারপর তার বেতো হাঁটু সামলে যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব সিঁড়ি বেয়ে নেমে হাঁক দিলেন ‘বৌমা’।

বৌমা অর্থাৎ গোকুলচন্দ্র ও কার্তবীর্যার্জুনের মা – গন্ধেশ্বরী দেবী সে সময় গুষ্টির কাজ সেরে একটু খানিক পালঙ্কে গড়াচ্ছিলেন। শাশুড়ি মায়ের হাঁক ডাক শুনে তাড়াতাড়ি নামতে গিয়ে কুঁচিতে পা আটকে একটুর জন্যে আছাড় খেতে খেতে বেঁচে গেলেন। কোন রকমের বিন্ধ্যবাসিনী দেবীর কাছে এসে দেখলেন তিনি প্রায় মুছছো গেছেন আর কি। রাধি তার বকলমে কিছু না বুঝেই পাড়া কাঁপানো বিলাপ করছে।গন্ধেশ্বরীও কিছু না বুঝে চোখের জল ফেলে বিন্ধ্যবাসিনীর মাথায় জল আর পাখার হাওয়া দিতে থাকলেন। একটু ধাতস্থ হবার পর কর্তা মা ফুকরে উঠলেন –

‘কাতুর আমার এখনি বিয়ের ব্যবস্থা করো তোমরা। বাছা আকাশের দিকে ঠায় তাকিয়ে – বুঝি আমাদের ফাঁকি দিলে গো’।

বয়স যাই হোক, বিয়ের ব্যাপারে কারু আপত্তি দেখা গেল না। সাবেক জমিদার বংশে যে বয়সে টোপর কেনা হত – কার্তবীর্যার্জুনের বয়স তার থেকে দু এক বছর বেশি তো কম নয়। মৌন সম্মতি পাওয়া গেল পাত্রেরও। রোশন চৌকী বসল, ভিয়েন বসল,গড়ের বাদ্যি বাজল কাক, চড়ুই তাড়িয়ে দিয়ে। তিন দিন ঝেঁটিয়ে খেয়ে গেল ডামর-ডিহি গ্রামের কুচো থেকে বুড়ো। আড়াই সেরি বেনারসি জড়ামড়ি করে বড় জোর এক মণ টাক ওজনের ছোট বৌমা ঢুকলেন কয়াল বাড়ি। বিশ ভরীর বিছেহার দিয়ে তার মুখ দেখে বিন্ধ্যবাসিনী তার কানে কানে বললেন –

‘কড়া বাঁধন দিয়ে রেখো বৌমা। কাতু আমার যে কোন দিন সন্ন্যাসী হবে’।

বালিকা বধূ কিছু না বুঝেই মাথা নাড়লে। নতুন বৌয়ের চাঁদ পানা মুখ দেখে বিন্ধ্যবাসিনী আর গন্ধেশ্বরী দেবী চোখে চোখে হাসি বিনিময় করলেন । আর কাতুকে বিবাগী হতে হবে না। মোক্ষম প্যাঁচ দেওয়া গেছে।

সত্যিই কার্তবীর্যার্জুনের ঘর ছাড়া হল না।নতুন বৌয়ের সুবাদে জীবন প্রথম কোন দায়িত্ব পেলেন। খুব যে জড়ালেন তা নয়, তবে থাকলেন বাড়ির চৌহদ্দিতেই।কিছুদিন থাকা যাক। তারপর ঘর ছাড়া তো হাতের পাঁচ। এবার যাওয়া আটকালো আরেক জন। দুটি দুর্গা পুজো পেরল কি পেরল না, একটি ফুটফুটে শিশু তার কোলে বসে জামা ভেজাতে লাগলো। মাস গেল বছর গেল। একমণী বৌ এক হন্দর হল। তাদের মেয়ে প্রথমে চ্যাঁ চ্যাঁ করে কাঁদল, তারপর হামাগুড়ি দিয়ে দাঁড়াল। যথা সময়ে ইশকুল কলেজের লেজ চুমরে একদিন বিয়েও করে নিল। বিন্ধ্যবাসিনী, বিঘ্ন বিনাশন, গন্ধেশ্বরী – সবাই ততদিনে তৈল চিত্রিত হয়ে গেছেন। গোকুল চন্দ্র মোটামুটি অবসর নিয়ে চুটিয়ে টিভি তে খেলা আর খবর দেখেন। যৌবনের সময়াভাব তিনি সুদে আসলে মিটিয়ে নিতে চান। তার একমাত্র ছেলে রণেন্দ্র নারায়ণ – আধুনিক ‘রণ’ এখন তাদের পারিবারিক ব্যবসা দেখে। যৌবনের গোকুল চন্দ্রের মতই তার ঘরে দেবার মত সময় প্রায় নেই। মূলত মোবাইলেই ‘হাই ড্যাডি – বাই ড্যাডি’ যোগাযোগ রেখেছেন।

কার্তবীর্যার্জুনের শুধু সময়ের কোন পরিবর্তন হয় নি। ইদানীং তার ঘুমের সমস্যা হয়েছে। ভাবছেন রাতে লুচি খাওয়া ছেড়ে দেবেন। আসলে লুচি বাবার দাক্ষিণ্যে তাকে শৈশব থেকেই রোজ রাতে লুচি দেওয়া হয়। লুচি খেতে খেতে তিনি নিজেই লুচির মত গোলাকার হয়ে উঠেছেন। এক দিন গভীর রাত্রে ছাদে পায়চারি করতে হটাৎ তার মনে হল সবই তো হয়ে গেছে। এবার অন্তত ঘর ছেড়ে দেওয়া উচিত। সারা জীবন ধরে তিনি শুনে এলেন যে কোন দিনই সেই শুভক্ষন এসে যেতে পারে। আজও আসেনি। ছুঁই মুই লতার মত উদ্যোগ নিলেই গুটিয়ে গেছে। তার এবার লজ্জা পাওয়া উচিত। পাচ্ছেন তিনি। হোক তবে এস্পার নইলে ওস্পার। কালকেই সবাইকে ডেকে বলে দেবেন। গোছ গাছ করতে বড় জোর হপ্তা খানেক। তারপরেই সংসার থেকে ছুটি। মন আনন্দে ভরে গেল তার যেন বহুদিনের কোষ্ঠ কাঠিন্য থেকে মুক্তি পেলেন। বিছানায় পড়তেই ঘুমে দু চোখ ভরে এলো তার।

অনিদ্রা রোগীর সকালে ঘুম ভাঙতে দেরী হয়। সকাল নটা নাগাদ তাকে টেনে ওঠালেন স্ত্রী। কার্তবীর্যার্জুন কোনক্রমে চোখ মেলতেই দেখলেন তার স্ত্রীর মুখে হাসি আর ধরে না। দু হাতের বিশ গাছা চুড়ি ঝনঝনিয়ে তিনি বললেন –

‘জানো খুকী ফোন করেছিল। তোমার নাতি হবে গো। যাই ভাসুর ঠাকুরকে , বৌদিকে সুখবরটা দিয়ে আসি’।

ঘুমটা ভাল ভাবেই ভাঙ্গল কার্তবীর্যার্জুনের। থম মেরে বসে রইলেন বেশ কিছুক্ষণ। । পরিপাক করলেন সংবাদটি। ভিতরে ততক্ষনে হইচই শুরু হয়ে গেছে। সবার উপরে গলা তুলেছে ‘রণ’। ঘরের কড়ি কাঠের দিকে তাকালেন কার্তবীর্যার্জুন। তারপর কাকে যেন উদ্দেশ্য করে গভীর সুখে বা দুঃখে মাথা নেড়ে বললেন –

‘হল না তাহলে। এবারেও হল না’।

Facebook Comments Box

আপনি এই পত্রিকা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।

নতুন লেখা বা ভিডিও সংযোজন, অথবা রবিচক্রের অন্যান্য খবরাখবর সম্পর্কে জানতে, ইমেল নথিভুক্ত করতে পারেন।

We don’t spam! Read our privacy policy for more information.