শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতির আলোচনা ও চর্চা

রম‍্যাণি বীক্ষ‍্য

দুখিরাম এই সদ্য সাড়ে তিনশো খানেক “পাত্র পাত্রী চাই” বিজ্ঞাপন পড়ে উঠল। এটি তাঁর অবসর কালীন রবিবাসরীয় যাপন। বাংলা ভাষা শেখা ইস্তক যে বহুল প্রচারিত ঢক্কা নিনাদ সংবাদ পত্রটি – সে রোজ দাঁতে কাটে, তাতেই প্রতি রবিবার আলাদা কয়েকটি পাতা সংযোজিত হয়। সেখানে পুত্র গৌরবান্বিত আর কন্যা দায়গ্রস্ত মা বাবারা আইন মাফিক স্বজন সন্ধানে ইস্তাহার দিয়ে থাকেন । দুখিরাম গত ত্রিশ পঁয়ত্রিশ বছর ধরে সেই ছিন্ন-পত্রাবলী মন দিয়ে পড়ে, বিশেষত ‘পাত্রী চাই” অংশটি।

এ থেকে কেউ ভুল বুঝবেন না, বা সহানুভূতির টর্চ নিয়ে ধেয়ে আসবেন না। দুখিরামের বিবাহ পরবর্তী ছত্রিশ বছরের অপশাসন সত্ত্বেও সরকার বদলায় নি। ‘বিগ বেন’ ঘড়ির মত দোলক দুলছে আর ব্যাঙ্গমা ব্যাঙ্গমীর জীবন চক্রবত চলছে। এই ধরুন সকাল আটটায় মতান্তর (তুমি বললেই ঠিক ?) – দশটায় মনান্তর ( যাও যাও ঢের দেখা আছে।) – বারোটায় যুগান্তর (সংবাদপত্র বন্ধ হল) -দুপুর দুটো নাগাদ বিয়াল্লিশের মন্বন্তর (মানুষের তৈরি দুর্ভিক্ষ – এ ক্ষেত্রে স্ত্রীর দ্বারা স্বামীর খাদ্য সরবরাহ বন্ধ) – ফলত বিকেল চারটেয় আতান্তর (খুব স্বাভাবিক) – আবার সন্ধ্যে ছ’টা / সাড়ে ছ’টা বাজলে তাসখন্দ চুক্তির মধ্যান্তর ( যে চুক্তি সুবিধে মত ভাঙলেই হল)। অতএব টিক টিক চলে ঘড়ি, ঠিক ঠিক ঠিক। দুখিরামের অভিজ্ঞতা বলে – যারা নিয়মিত এবং নিয়ন্ত্রিত কলহে পটু – তাদের আর বৌ খোঁজার দরকার নেই। একে অন্যকে অকারনে খোঁচানোর আমোদ বন্ধ হলে এদের বাত-পিত্ত-কফ কুপিত হয়। তাই তাদের রামায়ন চলছে-চলবে। অন্য দিকে দীর্ঘ অন্তরালে দ্বিতীয় রিপু জাগলে – সম্পর্কের রিপু কর্ম কঠিন হয়ে পড়ে। সেই মহাভারত কুরুক্ষেত্র অব্দি গড়ানোর সম্ভাবনা। দুখিরাম তাই ব্রতচারী গানটি একটু পালটে নিয়েছে (গুরু সদয় বাবুকে গড় করে) – চলো কোঁদল চালাই – ভুলে মানের বালাই, হবে মেজাজ শরীফ আর শরীর ঝালাই, যত বিচ্ছেদ বালাই করবে পালাই পালাই ……ইত্যাদি। কাজেই দুখিরামের নিদান – নিয়মিত অল্প ঝগড়া স্বাস্থ্যকর। পরিমিত ভোগে ধাতু শুদ্ধ হয়। অনেকটা সপ্তাহান্তে দু / তিন পেগ ………মানে পাঠক তো বুঝতেই পারছেন।

ধান ভানতে এই শিব স্তোত্রর কারণ হল দুখিরামের ‘পাত্রী চাই’ এর বিজ্ঞপ্তি পড়ে দেখার পিছনে কোনও সীতার বনবাস নেই। শুধু অভ্যাস। তবে তিন দশকের কালানুক্রমিক পাঠের অভিজ্ঞতায় দুখিরাম বলতে পারে এর মাধ্যমে আর্থ সামাজিক পরিবর্তনের কিছু আভাস পাওয়া যায়। বাঙালি জীবনে অনূঢ়ারা কে কোথায় দাঁড়িয়ে – সেই বিবর্তনের সাক্ষী এই বিজ্ঞাপন। আশি নব্বুইয়ের দশকে যেমন পাত্রী চাইতেন সবাই – এখন তা – একশো আশি না হোক – নব্বুই ডিগ্রি অবশ্যই ঘুরে গেছে। আজ মেয়েরা স্ব স্ব ক্ষেত্রে অনেক আগুয়ান, দেশে, বিদেশে এমন কি মহাকাশেও। যজ্ঞে মন্ত্রোচ্চারণ ও করছেন তাঁরা। পিতৃ-তন্ত্র সেই মন্ত্রের কল্যাণে মাথা নুইয়েছে কিছুটা। যুগ্ম জীবনের ভিত্তি গড়তে দৈত্য / দেবতা সবাই নমনীয় হয়েছে্ন, উদার হয়েছেন। তবে মূল কাঠামো বদলাল – না কি গর্জন তেলের আবরণ পর্যন্তই সীমিত রইল উদারীকরণের ধুয়ো – একটু নেড়েচেড়ে দেখা যেতে পারে।
দুখিরাম পড়েছে মোটে দুশো পঁয়তাল্লিশটি ‘পাত্রী চাই’ বিজ্ঞাপন। কাজেই তার পর্যবেক্ষন আদৌ সর্বাত্মক নয়, ঝাঁকি দর্শন মাত্র । তবু তাঁর মধ্যেই একটি চাহিদা তার দৃষ্টি এড়ায়নি। কালের যাত্রায় রয়ে গেছে ঠিক। স্ব-বেশে বা ছদ্মবেশে। দুখিরামের ধন্দ সেখানেই।

দুখিরাম কিছুদিন থেকেই খেয়াল করছে যে এখন আর কেউ ‘প্রকৃত সুন্দরী ছাড়া পত্রালাপ নিষ্প্রয়োজন ‘ এমনটা বলছেন না। কয়েক দশক আগে এই বাক্যটি সিংহভাগ বৈবাহিক বিজ্ঞপ্তিতে থাকত। প্রাকৃত সুন্দরী চাইতেই পারেন কিন্তু প্রকৃত? তাঁরা কারা? কোন নন্দন বাসিনী উর্বশী? যৌবনে দুখিরাম এ নিয়ে ভাবনা চিন্তা করেছে কিন্তু তল পায়নি । রঙ ফর্সা হলেই হবে কি? বোধহয় না। এই ধারণা এসেছে বিলিতি সাম্রাজ্যবাদ থেকে। ভিক্টোরিয়ান সৌন্দর্যের যে সংজ্ঞা তাতে গায়ের রং খুব গুরুত্বপূর্ণ। উষ্ণ প্রাচ্যের স্বরূপ তা হতে পারেনা। তাহলে আফ্রিকা মহাদেশের কেউ কোন দিন বিশ্ব সুন্দরী সভায় যেতেন না। তবে যে দেশে “ফর্সা এবং প্রীতিকর” মলম পঞ্চাশ বছরের বেশি করে খাচ্ছে সেখানে হয়ত ধলো রঙ সৌন্দর্যের অন্যতম মাপকাঠি বলা যেতে পারে। কিন্তু প্রকৃত সুন্দরীর সংজ্ঞা?

সংস্কৃত সাহিত্যে একটি শ্লোকের ভগ্নাংশে সুন্দরী নারীর মাপদন্ড নির্দেশিত আছে “ন্যগ্রোধ পরিমন্ডোলা”। শ্লোকটি পড়তে গিয়ে দুখিরাম লাল। কালিদাসের কালে তেমন চর্চা হয়ত দূষণীয় ছিল না কিন্তু আজ সে বর্ণনা মেলাতে গেলে ম্যালা ঝামেলা। তাতে যে কোন মেরি মাতাই বক্সার ‘মেরি কম’ হয়ে যাবেন – এবং তার ফল কম সম হবে না। তাছাড়া ভারতীয় দণ্ড সংহিতার পাঁচশ নয় ধারা (Word, gesture or act intended to insult the modesty of a woman. Section 509 in The Indian Penal Code ) সে তো আছেই । কাজ কি গোলমালে? অন্য দেশ দেখা যাক।

চীনদেশে এক সময় ছোটো পা মহিলাদের রূপসী ধরা হত। ছোটবেলা থেকেই মেয়েদের পরানো হত লোহার জুতো। মিশর সম্রাজ্ঞী ক্লিওপেট্রা, যার নাক একটু বোঁচা হলে সে দেশের ইতিহাস অন্য রকম হত বলে কিম্বদন্তী, গাধার দুধে স্নান সেরে নিতেন। তাঁর ভুবন ব্যাপী সৌন্দর্যের বোধহয় সেটাই রহস্য। মায়না-মারের কারেন উপজাতির বালিকারা পাঁচ বছর বয়েস থেকে গলায় তামার তাঁর প্যাঁচাতে থাকে, যাতে গলাটি বকের মত হয়। উদিত সূর্যের দেশে খড়গ নাসা, দীর্ঘাঙ্গী, ক্ষীণ তনু মহিলারাই সুন্দরী পদবাচ্য। এরা অবশ্য সুলভ নন। পারশীয় কবি হাফিজ সিরাজি বলেন, ‘আগার আঁ তুর্কে শীরাজি বদস্ত আ রাদ দিলে মারা/ বখালে হিন্দওয়াশ বখশাম সমরকন্দ ও বোখারা রা।’ সংক্ষেপে – আমি তার গালের তিলের বিনিময়ে তাকে দুনিয়ার দুই শ্রেষ্ঠ নগরী বোখারা ও সমরকন্দ পর্যন্তও দিতে রাজি । পারস্যে তবে গালের তিলের ভিত্তিতে সুন্দরী চয়ন হয়। রুশী রূপকথা বলে সুন্দরী হবেন স্বাভাবিক, লোক ঠকানো কিছু থাকবেনা তাঁর। তবে হ্যাঁ – সঙ্গে চাই তীক্ষ্ণ মগজ। অ্যামেরিকানরা এ ব্যাপারে খুব একটা মাথা ঘামায় না, তাদের মাথার চুল, ভ্রু পল্লব, হাতের নখ, মায় নাকের গড়ন – ইচ্ছে হলেই বদলে নেওয়া যায়। তবে ল্যাটিন অ্যামেরিকায় চল আছে ঈষৎ শ্যাম বর্ণ, বালি ঘড়ির মত মহিলাকে সুন্দরী বলার। নাঃ, সমঝোতা সুত্র পাওয়া যাচ্ছে না। বঙ্গ দর্শন কি বলে দেখা যাক। এখানে পরিভাষা একটু বঙ্কিম। হবারই কথা। ঠাকুরই তো বলে গেছেন ‘সহজ কথা যায় না বলা সহজে’।

ঠাকুমার ঝুলি থেকে বেরল ‘কুঁচ-বরন কন্যা রে তার মেঘ-বরণ কেশ’। বিস্তর কবি এদেশে। তাঁরা ফর্দ দিলেন – মরাল গ্রীবা, চম্পকাঙ্গুলি, পটলচেরা চোখ, বাঁশির মত নাক, গালে টোল। দুখিরাম গোলে হরিবোল। সুধী জন একবার ভাবুন এক কন্যার দর্শন পেলেন যার গাঁয়ের রং লাল (কুঁচ ফলের মত), মেঘের মত আলুথালু চুল, হাঁসের মত এক ফুটিয়া গলা, হাতে আঙুল নেই, সেখানে পাঁচটি চাঁপা ফুল, চোখের জায়গায় পটলের দোরমা আর নাকের স্থান দখল করেছে এক আড় বাঁশি। এ রকম ‘সুকুমারী’ বকচ্ছপ মূর্তি যদি হঠাত আপনাকে বলে ‘পথিক তুমি কি পথ হারাইয়াছ?’ তার ফল কি আবোল তাবোল হবে না? সেই বিখ্যাত নোট বুকে কিন্তু কিছু লেখা নেই। যা হোক ‘খুঁজি খুঁজি নারি ( বা নারী)’ দুখিরাম ভেবেছিল ইদানীং মানুষ বুঝদার হয়ে এমন “প্রকৃত সুন্দরী” র দাবী ছেড়েছেন।

আসলে কিন্তু ছাড়েন নি। দিশা বদলেছেন। দুখিরাম গুনে দেখেছে – কয়েক জনা এখনও সাবেক ‘সুন্দরী’র গোঁ ধরে বসে থাকলেও – একশো সাইত্রিশ জন উমেদার ‘সুশ্রী পাত্রী’ যাচ্ঞা করেছেন। আকাশ থেকে পড়ে খেজুর গাছে আটকে যাওয়া। পশ্চিমবঙ্গের অনেক যোজনায় ‘শ্রী’ বৃদ্ধি ঘটছে, কিন্তু ‘সুশ্রী চাই’, কোন খাতের অনুমোদন? আরো কোনও বিশ্রী খাঁই নয় তো। তাহলে দাঁড়াচ্ছে ‘অদ্যাপিও সেই খেলা খেলে গোরা রায়’। সঃ চাঃ, বেসঃ চাঃ, দেশী বা বিদেশী, গবেষক, শিক্ষক, পুলিশ, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, উজ্জ্বল শ্যাম বর্ণ (কৃষ্ণ রূপ বোধহয়), বিপত্নীক প্রবীণ নাগরিক, ‘বাম পদে অল্প দোষ’, পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতা বিশিষ্ট , নাম মাত্র বিবাহে ডিভোর্সি, পঃ বঃ, পূঃ বঃ সকলেরই ‘দাদু চায় নাতি চায় – প্রজাপতি বিস্কুট’। প্রসঙ্গত বলা যায় সুন্দরীর ব্যাখ্যায় এপার বাংলা আর ওপার বাংলায় একটি মূল ফারাক আছে। অন্তত ছিল। ‘স্তন্যদায়িনী (মহাশ্বেতা দেবী প্রণীত)’ কাহিনীতে বড় কর্তা সখেদে বলতেন, ‘দ্যাসের মশা গুলানও আছিলো হৃষ্ট পুষ্ট , ঘটির দ্যাসে হগ্যোলই চিমসা শুকনা’। সাঁটে বলা হল পদ্মা পারে গোল গালিনী, ভর ভরন্ত না হলে সুন্দরীর তকমা পাওয়া মুস্কিল ছিল। গঙ্গা পারে আবার আম শুকিয়ে আমসি হবার তাগিদ থাকে।

সে যাই হোক, দুখিরামের প্রশ্ন এত মহাকাশযান উড়ল আকাশে কিন্তু আমাদের মন রইল কুঠরিতে? বাংলার ঘরে ঘরে যারা ‘ঘরেও নহে পারেও নহে’ অর্থাৎ – না সুশ্রী – না বিশ্রী তাদের কি হবে? পরশুরামের গল্পে দুই শ্বেত ও শ্যাম সুন্দরীর গপ্পো আছে। কৃষ্ণ বরনাকে সহপাঠীরা বলতো ‘দণ্ড বায়স হুস’। সে এই রং তামাশায় ত্যক্ত হয়ে দক্ষিণ ভারতে পাঠক্রম শেষ করতে যায় । সেখানে কালো রঙের প্রতি রঙ্গও নেই, ব্যঙ্গও নেই। ফিরে এসে সে এক কাঞ্চন রাজপুত্রের নাকে ঝামা ঘসে দেয়, ফর্সা দিদিমণি প্রত্যাখ্যান করার পরে।দুখিরামের আশঙ্কা বাস্তবে সে দিন দূরে নেই। তাছাড়া কোনো পাত্রীর মা-বাবাই কিন্তু ‘সুদর্শন পাত্র’ চান নি। তবে?

সময় থাকতে চলো পাল্টাই।

আঠেরো শতকের প্রাচীন প্রবাদ ‘সৌন্দর্য থাকে দর্শকের চোখে’। প্রবাদ প্রতিম সোফিয়া লোরেনের অনুরূপ বয়ান ‘সৌন্দর্য শারীরিক নয়, এ হল যা আপনার চোখে প্রতিবিম্বিত’। লেবানিজ-আমেরিকান কবি, লেখক, দার্শনিক খলিল জিব্রাইন বলছেন ‘সৌন্দর্য মুখে নেই; এ এক আলো যা হৃদয়েতে আছে’। আর সেরা উক্তি চৈনিক দর্শন-বেত্তা কনফুসিয়াসের ‘সবকিছুর সৌন্দর্য আছে তবে সবাই তা দেখে না’। এখান থেকেই নৌকার মুখ ঘোরাতে চায় দুখিরাম।

জীবন সাথীর পরিচয় থাক তার সমগ্রতায়। সৌন্দর্যকে চিনে নিতে ঈশ্বর সবাইকে দেখার চোখ দিন।

[লেখকের অন্য রচনা]

Facebook Comments Box

আপনি এই পত্রিকা পড়ছেন জেনে ভাল লাগল।

নতুন লেখা বা ভিডিও সংযোজন, অথবা রবিচক্রের অন্যান্য খবরাখবর সম্পর্কে জানতে, ইমেল নথিভুক্ত করতে পারেন।

We don’t spam! Read our privacy policy for more information.


0 0 votes
Article Rating
Subscribe
Notify of
guest
1 Comment
Oldest
Newest Most Voted
Inline Feedbacks
View all comments
সৌরভ হাওলাদার
সৌরভ হাওলাদার
4 days ago

গত প্রজন্মের এক কবি কোন এক সময় বলেছিলেন, আগামী কয়েক দশকে এই পাত্র পাত্রী সংকলিত পত্রিকার পাতাগুলি লুপ্ত হয়ে যাবে। কারণ ভবিষ্যত জীবন সংগ্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী এবং সহযোদ্ধা (একমাত্র যুদ্ধ, যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে শয়নকক্ষ শেয়ার করা বিধেয়) নিজেরাই উদ্যোগী হবে নিজেদের খুঁজে নিতে। কিন্তু সময়ের খতিয়ান অন্য কথা বলে, আজ সেই পাতা বাড়বৃদ্ধি এত বেশি যে তা পাতাবাহার ছেড়ে মোবাইল অ্যাপ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। সব মিলিয়ে বেশ কয়েক লক্ষ কোটির ব্যবসায় পরিণত।
অতএব কোঁদলেরও দাম আছে।

1
0
Would love your thoughts, please comment.x
()
x